Affects Of Sinner Planets In Astrology: জ্যোতিষ শাস্ত্রে মোট নটি গ্রহ রয়েছে। তার কিছু শুভ এবং কিছু গ্রহ পাপ গ্রহ বলে মনে করা হয়। এর প্রভাব পড়তেই মানুষ না চেয়েও পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে। পাপ গ্রহের প্রভাবে মানুষ খারাপ কাজ করে।জ্যোতিষে শনি, রাহু এবং কেতুকে পাপ গ্রহ বলে মনে করা হয়। এই গ্রহগুলি জীবনকে পাপপূর্ণ পঙ্কিল করে তোলে। পাপ গ্রহের খারাপ প্রভাব এসে পড়লে, মানুষ অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাপ কাজে লিপ্ত করে দেয়। কিন্তু কখনও কখনও এই পাপ গ্রহ আবার শুভ ফলও দেয়। শুভ দশায় যদি আগ্রহ মানুষের প্রভাব ফেলে। তাহলে মানুষকে পূর্ণ এবং মুক্তির পথে নিয়ে যায়।
শনির শুভ এবং অশুভ প্রভাব
যার ওপরে শনি গ্রহের প্রভাব পড়ে, তার কোনও কাজে মন লাগে না। কিন্তু শনি যখন পূণ্যের প্রভাব দেয়, তখন নিজের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের কল্যাণ করতে মানুষ অগ্রসর হয়।
১.শনির খারাপ প্রভাব পড়লে মানুষ অলস বেপরোয়া এবং কঠোর হয়ে যায়
২. মানুষ শূদ্র দেবতার উপাসনা করতে শুরু করে।
৩. নোংরা থাকে এবং খারাপ কাজ করে।
৪. ঈশ্বর এবং ভক্তির পথে চলে না। বিশ্বাসও করেনা।
৫. শনির শুভ ফল থেকে মানুষের সত্যতা এবং ভালো পথে নিয়ে যায়।
কীভাবে বাড়াবেন শনির শুভ প্রভাব?
শনির শুভ প্রভাব বাড়ানোর জন্য
১. হনুমানজির পুজো করুন।
২. নিজের ক্ষমতা অনুসারে ভোজন করুন।
৩. বস্ত্র এবং ধনের দান করুন।
পাপ গ্রহ রাহুর প্রভাব
জ্যোতিষ অনুসারে রাহু দ্বিতীয় প্রভাবী পাপ গ্রহ। যে মানুষের উপর রাহুর প্রভাব পড়ে, সে মিথ্যা, প্রতারণা, ছল-কপট এর মত খারাপ অভ্যাসের শিকার হয়। পাপ গ্রহ কখনও কখনও শুভ ফলও দেয়।
১. অশুভ রাহু চরিত্র পতন এবং নেশাগ্রস্ত করে দেয়।
২. রাহু মানুষকে অন্যদের বিরক্ত করার এবং হয়রান করার অভ্যাস এনে দেয়।
৩. রাহুর কারণে মানুষ ধর্ম এবং আধ্যাত্মিকতার বিরুদ্ধে চলে যায়।
৪. রাহুর শুভ প্রভাব যদি দিতে শুরু করে তাহলে মানুষের জন্ম থেকেই সাত্ত্বিক হন।
৫. এমন মানুষ অদ্ভুত চমৎকার ব্যক্তি হন।
কীভাবে বাড়াবেন রাহুর শুভ প্রভাব?
রাহুর শুভ প্রভাব বাড়ানোর জন্য সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করতে হবে। শিবের উপাসনা করতে হবে। রোগী এবং বিকলাঙ্গদের সেবা করতে হবে।
পাপ গ্রহ কেতুর প্রভাব
জ্যোতিষে কেতুকে পাপ গ্রহ বলে মনে করা হয়।
১. কেতু খারাপ হলে মানুষের জীবন দিশাহীন হয়ে পড়ে।
২. কেতুর কু-প্রভাব থাকলে মানুষ ধর্ম এবং ঈশ্বরের বিরোধিতা শুরু করে। মনুষ্যত্বের বিরোধিতা শুরু করে।
৩. মানুষ জীবনে সমস্ত সমস্যার জন্য ঈশ্বরকে অপরাধী বলে মনে করে।
৪. উল্টো-পাল্টা প্রয়োগ করে মানসিক রূপে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
৫. কেতুর পুণ্য প্রভাব হলে তীর্থযাত্রা করে।
৬. মানুষকে সদুপদেশ দেয় এবং সন্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
কেতুর প্রভাব ভালো করতে হলে কী করবেন?
১. আপনাকে প্রতিদিন সকালে স্নান করে গণেশের আরাধনা করতে হবে।
২. তীর্থস্থান এবং মন্দিরের যাত্রা করুন।