
পূর্ণ গোলাপী চাঁদ (Full Pink Moon) উদিত হবে শনিবার অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল ২০২২ এ। কারণ হলো এই মরসুমে গোলাপি ফুল অনেক বেড়ে যায়। তাই একে এপ্রিলের ফুল মুন বা গোলাপি চাঁদ বলা হয়। মধ্যরাতের পরই চাঁদের এই রং দেখতে পাবেন। তবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের লোকেরা এটি ১৫ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে দেখতে পাবেন।
ওয়াশিংটনে নাসার (NASA) সদর দফতরের বিজ্ঞান মিশন ডিরেক্টরেটের প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ গর্ডন জনসন বলেছেন যে, আমরা এই সপ্তাহান্তকে ফুল মুন সপ্তাহান্ত বলতে পারি। পূর্ণ চন্দ্র , বা ফুল মুন, মাসে একবার ঘটে, যখন সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একটি কাল্পনিক ১৮০ -ডিগ্রি রেখায় পড়ে।
NASA-তে কর্মরত সাইন্স কমিউনিকেটার আন্দ্রেয়া জোনস বলেছেন যে চাঁদের কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে পাঁচ ডিগ্রি ভিন্ন। সেজন্য সে সর্বদা পৃথিবীর ছায়ার সামান্য উপরে বা নীচে থাকে। এ কারণে সূর্যের আলো চাঁদের নিকটতম অংশকে আলোকিত করে। অর্থাৎ যে অংশটুকু পৃথিবীর দিকে থাকে।
আগামী মাসে চন্দ্রগ্রহণ
পূর্ণিমার সময়, কখনও কখনও পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর আংশিক বা সম্পূর্ণ পড়ে, যার ফলে চন্দ্রগ্রহণ হয়। পরবর্তী চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse) ১৫-১৬ মে ২০২২-এ ঘটতে চলেছে। গ্রহণের সময় চাঁদের রং মর্চে পড়া লোহার মতো লাল হয়ে যায়। যাকে মানুষ ব্লাড মুন (Blood Moon) বলে। সাধারণত, যখন সূর্যের আলো পৃথিবীর চার দিক থেকে চলে গিয়ে চাঁদের ওপর পড়ে তখন চাঁদ লাল দেখায়।
গোলাপী চাঁদের অন্যান্য আকর্ষণীয় নাম
এপ্রিল ফুল মুন বা গোলাপি চাঁদের আরও অনেক নাম রয়েছে। যেমন- স্প্রাউটিং গ্রাস মুন (Sprouting Grass Moon), এগ মুন (Egg Moon), ফিশ মুন (Fish Moon) ইত্যাদি। ইহুদিরা একে পিসাক বা পাসওভার মুনও বলে। শুক্রবার থেকে রবিবার তাদের পাসওভার নামে ছুটি থাকে। খ্রিস্টানদের মধ্যে এটিকে পাসকাল চাঁদ (Paschal Moon) বলা হয়। এই চাঁদ আসার পরই ইস্টারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
জুন-জুলাই মাসে সুপারমুনের দেখা মেলে
সুপার স্ট্রবেরি মুনও (Super Strawberry Moon) ১৪ জুন ২০২২-এ দৃশ্যমান হবে। এরপর ১৩ জুলাই দেখা যাবে সুপার ব্ল্যাক মুন (Super Black Moon)। সুপার স্ট্রবেরি মুন ১৪ শতাংশ বড় এবং সুপার ব্ল্যাক মুন ৭ শতাংশ বড় দেখাবে।