scorecardresearch
 

ইঞ্জিনিয়ারের হাতের কামাল, মাটির নীচে নয়, শূন্যে ফলছে আলু!

ইঞ্জিনিয়ারের আশ্চর্য আলু চাষ, শূন্যে ফলছে মাটির নীচের ফসল। তাও আবার আলু ছাড়াই। গুজরাতের এক ইঞ্জিনিয়ার শখের বাগানে এমন চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যা এখন সোস্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং।

Advertisement
আজব আলু চাষ আজব আলু চাষ
হাইলাইটস
  • ইঞ্জিনিয়ারের আশ্চর্য আলু চাষ
  • শূন্যে ফলছে মাটির নীচের ফসল
  • তাও আবার মাটি ছাড়াই

Potato Cultivation: আলু সবজি রাজা। এ কারণে বলা হয়, কারণ এমন কোনও খাবার নেই যাতে আলু দেওয়া হয় না বা দেওয়া যায় না। আলু ছাড়া সবজি যেন আলুনি হয়ে যায়। অন্য সবজিতে আলু দিয়ে যেমন খাওয়া যায়, তেমনি আলুর আলাদা করে হাজার রকম সবজি রয়েছে। দেশি হোক আর বিদেশি। পটেটো চিপস কিংবা আলুর ডালনা। সবেতেই তার উপস্থিতি রয়েছে ষোল আনা।

কিন্তু যদি বলি, আলু কোথায় ফলে জানেন কি? নিশ্চয়ই জানেন। আলু মাটির নীচে হয়। এটা আমরা ছোট থেকেই জেনে আসছি এবং দেখে এসেছি। কিন্তু যদি কেউ বলে যে আলু মাটির উপরে হয়। তাহলে কি আপনি বিশ্বাস করবেন? না করারই কথা। কিন্তু এমন অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন একজন লোক। গুজরাটের সুরতে এক ব্যক্তি এই অসাধ্য সাধন করেছেন। আসলেই নিজের ঘরের ছাদে কিচেন গার্ডেনে চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যেখানে কোন মাটির দরকারই হয়নি।

আজকের সময়ে রাসায়নিক এর সাহায্যে তৈরি করা সবজির বাজার থেকে কেনার পর আমরা খাই।কেমিক্যালযুক্ত সবজি খাওয়ার পর তাতে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি এমন অনেক প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু যদি সে সমস্ত সবজি বাড়িতে ফলিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে খুব ভালো হয় এবং শরীরের জন্য পুষ্টি এনে দেয়। কিন্তু আধুনিক ফ্ল্যাট কালচার এবং শহুরে জীবনে জমি কোথায় আলু ফলানোর? শুধু আলু কেন, অন্য কোনও ফসলই ফলানোর মত পরিস্থিতি থাকে না। তাদের জন্য ছাদে এই চাষির আলু চাষ পদ্ধতি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।

আলু

সুরতের বাসিন্দা সুভাষ পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু নিজের ঘরের ছাদের কিচেন গার্ডেনের তিনি চাষ করে কৃষকের কাজও করেন। ঘরে বসে তার পরিবারের জন্য বিভিন্ন প্রকার অর্গানিক সবজি লাগিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তার এই কারণে সুভাষ নিজের ঘরের ছাদে চাষাবাদ করে সবজি তৈরি করা শুরু করেন। কিন্তু এই সমস্ত সবজির মধ্যে সুভাষ ভাই নিজের ঘরোয়া চাষে আলু চাষের জন্য মাটি ব্যবহার করেননি। বলা যেতে পারে মাটির নিচের আলুর মতো দেখতে এবং খেতে এই পদার্থ আলুর বিকল্প হতে পারে। আসলে এটি একটি জংলি ফল। কিন্তু এর স্বাদ, রং ও রূপ সমস্ত আলুর মতই। আর এটি মাটির নিচে নয় গাছের শাখায় অন্য ফলের মতো ঝুলে

Advertisement


ভ্রমণের সৌখিন সুভাষ একবার যখন সৌরাষ্ট্র গিয়ে জঙ্গলে করছিলেন তখন সেখান থেকে তিনি এই হাওয়ায় জ্বলতে থাকা আলুর বীজ নিয়ে আসেন সাধারণভাবে এই হাওয়াই আলু পাহাড়ি রাজ্যের জঙ্গলে হয় নিজেই তৈরী হয় নিজেই জন্মায়। এই আলুর বোটানিক্যাল নাম দিওয়াসকোরিয়া বালবিফেরা। ঘরের ছাদের টবে দুটি আলাদা আলাদা প্রকারের অর্গানিক সবজি এবং তার মধ্যে বিশেষ করে হাওয়াই আলু সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন দারুণ চর্চায় রয়েছে। এর চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। জঙ্গলের হাওয়াই আলু নাম ক্যাম্ফিল। সারোর উপযোগ ছাড়াই দিব্যি বেড়ে চলেছে। বছরে একাধিকবার ফল দেয় এটি। সুরতের শহরের বাসিন্দা সুভাষ জঙ্গলের আলু শহরে তৈরি করে এখন খবরের শিরোনামে রয়েছেন।

 

Advertisement