scorecardresearch
 

Famous Churches In Kolkata West Bengal : যেন জীবন্ত ইতিহাস, বড়দিনের আগে জানুন রাজ্যের ৫ বিখ্যাত গির্জার কথা

প্রভু যিশুর জন্মদিন মানেই বিশেষভাবে সেজে ওঠে গির্জাগুলি। ২৫ ডিসেম্বর (25 December 2022) চলে বিশেষ প্রার্থনা। আর শুধু প্রার্থনাই নয়, বহু মানুষও ওই দিন বিভিন্ন গির্জায় যান। চলুন বড়দিনের প্রাক্কালে জেনে নেওয়া যাক রাজ্যের কিছু বিখ্যাত গির্জার ইতিহাস। 

Advertisement
রাজ্যের কিছু গির্জার ইতিহাস রাজ্যের কিছু গির্জার ইতিহাস
হাইলাইটস
  • আসছে বড়দিন
  • সেজে উঠছে চার্চগুলি
  • জানুন কিছু গির্জার ইতিহাস

সামনেই ক্রিসমাস (Christmas 2022), যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন। আর প্রভু যিশুর জন্মদিন মানেই বিশেষভাবে সেজে ওঠে গির্জাগুলি। ২৫ ডিসেম্বর (25 December 2022) চলে বিশেষ প্রার্থনা। আর শুধু প্রার্থনাই নয়, বহু মানুষও ওই দিন বিভিন্ন গির্জায় যান। চলুন বড়দিনের প্রাক্কালে জেনে নেওয়া যাক রাজ্যের কিছু বিখ্যাত গির্জার ইতিহাস। 

সেন্ট জনস চার্চ - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতায় রাজত্বকালের প্রথমদিকে সাধারণ মানুষের জন্য প্রথম যে পাবলিক বিল্ডিংটি তৈরি করেছিল সেটিই বর্তমানের সেন্ট জনস চার্চ (St John's Church Kolkata), ডালহৌসির অফিস পাড়ায় যাতায়াতের পথে যা সকলেরই চোখে পড়ে। এই চার্চের বাগানেই শায়িত রয়েছেন জব চার্নকের। এছাড়াও এখানে রয়েছে এছাড়া বাংলা তথা তৎকালীন বম্বের গভর্নর লর্ড ব্রেবোর্ন-এর সমাধি। কলকাতার বিখ্যাত মিষ্টি প্রস্তুতকারক ভীমচন্দ্র নাগ যাঁর নামে লেডিকেনি মিষ্টি বানিয়েছিলেন, সেই লেডি ক্যানিং-এর সুসজ্জিত স্মৃতিসৌধও রয়েছে চার্চেরই উত্তরের বারান্দায়। এককথায় বলতে গেলে কলকাতার ইতিহাসের এক জলজ্যান্ত সাক্ষী এই সেন্ট জনস চার্চ। 

সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল - শহর কলকাতার অন্যতম প্রধান গির্জা সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল (St Paul's Cathedral)। এক সময় কলকাতায় ব্রিটিশদের প্রধান উপাসনালয় ছিল সেন্ট জনস চার্চ। পরে ১৮৩৯ সালে এই গির্জার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ৮ বছর পর ১৮৪৭ সালের ৮ অক্টোবর এটি খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। কলকাতার সবচেয়ে বড় ক্যাথিড্রাল এবং এশিয়ার সবথেকে পুরনো এপিস্কোপাল গির্জা হল এটিই। পাশাপাশি এটিই হল ব্রিটেনের বাইরে ব্রিটিশদের তৈরি করা প্রথম ক্যাথিড্রাল। 

ব্যান্ডেল চার্চ - পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীন গির্জাগুলির মধ্যে অন্যতম হুগলির ব্যান্ডেল চার্চ (Bandel Church)। এই চার্চের পোশাকি নাম দ্য ব্যাসিলিকা অফ দ্য হোলি-রোসারি, ব্যান্ডেল। এই চার্চের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পর্তুগিজদের ইতিহাস। ক্রিসমাস তথা শীতকালে তো বটেই, এছাড়াও প্রায় সারাবছরই ব্যান্ডেল চার্চে লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। 

Advertisement

চিনসুরা চার্চ - হুগলির চুঁচুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র ঘড়ির মোড়ের পাশেই অবস্থিত চিনসুরা চার্চ (Chinsurah Church)। কলেবরে খুব বড় না হলেও এটিও রাজ্যের প্রাচীন চার্চগুলির মধ্যে একটি। গির্জাটি গড়ে ওঠে ১৮২৫ খৃষ্টাব্দে। তবে এটির আগে চুঁচুড়ায় আরও ২টি চার্চ ছিল। একটি হল ১৬৯৫ সালে তৈরি হওয়া আর্মানি টোলার আর্মেনিয়ান চার্চ অফ সেন্ট জন, দি ব্যাপটিস্ট, এবং অপরটি ঘন্টাঘাটের ওলন্দাজ চার্চ।

রানাঘাট বেগোপাড়া চার্চ - রানাঘাটের এই ক্যাথলিক চার্চটি অবস্থিত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। লোকমুখে রানাঘাট চার্চ (Ranaghat Begopara Church) নামে বেশি পরিচিত হলেও এই গির্জার প্রাচীন পুরোহিত এর নাম রাখেন 'আওয়ার লেডি অফ গুয়াডালুপ'। চার্চটিকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে বহু খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস। 

আরও পড়ুন - বছরভর সরগরম বঙ্গ রাজনীতি, দেখুন সেরা ১০ খবর একনজরে

 

Advertisement