scorecardresearch
 

90 percent Government Subsidy: সুখবর! সেচযন্ত্র কিনতে কৃষকদের ৯০% ভর্তুকি কেন্দ্রের

চাষের মরশুম চলে এসেছে। ফসল বোনার এটাই সেরা সময়। এই সময়ে সরকারি যোজনায় সেচযন্ত্র কিনতে ৯০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে সরকারই। তাহলে চাষ করতে আপত্তি কী?

Advertisement
চাষে লক্ষ্মীলাভ চাষে লক্ষ্মীলাভ
হাইলাইটস
  • ৯০ শতাংশ টাকা দেবে সরকারই
  • তাহলে চাষ করতে আপত্তি কী?
  • সেচযন্ত্রে বিপুল ভর্তুকি

Subsidy on Irrigation Equipment: ভারতে ফসল বোনার সময় চলে এসেছে। উত্তর ভারত বেশ কিছু রাজ্যের ফসল বোনার সময় চলে এসেছে। প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই মাসের ফসল বোনা অত্যন্ত জরুরি। কারণ চাহিদা ঠিক রাখতে হবে। যেহেতু বর্ষার মুখে এবং বর্ষা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে দরজায় কড়া নাড়ছে, সে কারণে এই সময় জলসেচের প্রক্রিয়া খুব সহজেই করা যায়। সেই কারণে ফসল বপন এর কাজ শুরু হচ্ছে।  সরকারের তরফে এই সময় জলসেচের প্রক্রিয়া প্রায় বিনামূল্যেই দেওয়া হচ্ছে।

৯০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি

কৃষির জন্য জলসেচের যোজনা শুরু করা হয়েছে। এই যোজনার জন্য কৃষকেরা বিভিন্ন শ্রেণিতে কৃষি জলসেচ যন্ত্রের উপর বড় ভর্তুকির সুবিধা পাবে। আলাদা রাজ্যে, সরকার নিজেদের মতো করে যোজনা মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্কের সাবসিডি দিচ্ছে। উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের রাজ্যগুলিতে কৃষকদের ৯০ শতাংশ প্রান্তিক চাষিদের ৭০-৮০ শতাংশ সাবসিডি এবং স্প্রিংকেল জলসেচের যন্ত্রেও ছাড় দিচ্ছে। সেখানে ছত্তিশগড় ৭৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। বাকি রাজ্যগুলিতে যেমন পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ওড়িশা, উত্তরাখান্ড, ঝাড়খন্ড, অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যে বড় ধরনের সাবসিডি পাওয়া যাচ্ছে এই সমস্ত যন্ত্রে।

ড্রিপ সিঞ্চন

ড্রিপ সিঞ্চন হল এক রকমের জলসেচ ব্যবস্থা। ফোঁটা সিঞ্চনও বলে। এই বিধিতে ফোঁটা ফোঁটা জল গড়াতে পৌঁছনো হয়। জল প্লাস্টিক পাইপের মধ্যে দিয়ে পাঠানো হয়। এটি উৎপাদকদের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত অধিক লাভ দেয়। পাশাপাশি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত জলের সংরক্ষণ করে।

স্প্রিংকেল সেচ 

এটি সিঞ্চন নল দিয়ে মাটির নীচে খেতে জল পাঠানো হয়। সেখানে রাইজার পাইপ দিয়ে খেতে জল সেচ করা হয়। চা বাগান এবং বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত্রে যেখানে উপর থেকে বৃষ্টির প্রয়োজন হয় সেখানে এই ধরনের পাইপ লাগানো থাকে। যেখানে উপর থেকে বৃষ্টির মতো জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। হেলিকপ্টারের মতো মাথাটা ঘুরে ঘুরে জল ছেটায়। জলের সংরক্ষণে এই ধরণের সেচ অত্যন্ত ভাল। অতিরিক্ত জল খরচ হয় না।

Advertisement

এই সমস্ত কৃষকেরা পাবেন যোজনা

এই যোজনার লাভ পেতে হলে কৃষকদের কাছে নিজেদের জমি এবং জলস্রোত থাকতে হবে। যোজনার লাভ সহকারী সমিতির সদস্য, সেলফ হেলপ গ্রুপ, ইনকর্পোরেটেড কোম্পানিজ, পঞ্চায়েতিরাজ সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা, ট্রাস্ট, উৎপাদক-কৃষকদের সমবায়, সবাই পেতে পারবেন।

কীভাবে পাবেন যোজনা

প্রাপকরা যোজনার লাভ পেতে হলে কন্টাক্ট ফর্ম অথবা ন্যূনতম সাত বছরের লিজ এগ্রিমেন্ট-এ জমি নেওয়া থাকতে হবে। এই সমস্ত কৃষক সংস্থানের নিজেদের ভূ ভাগের ওপর দ্বিতীয়বার সাত বছরের বা তার বেশি যোজনাতে এই লাভ পাবেন। কৃষকদের মধ্যে যারা এই লাভ নিতে চান অনুদানের অতিরিক্ত যে টাকা, তাকে নিজেদের ব্যবস্থা করতে হবে এবং জলের যোগান ন্যাচারাল রিসোর্স থাকতে হবে।

কোথায় করবেন আবেদন?

ইচ্ছুক কৃষকরা কেন্দ্র সরকারের প্রধানমন্ত্রী কৃষক জলসিঞ্চন যোজনার ওয়েবসাইটে গিয়ে এর জন্য আবেদন করতে পারেন। এ ছাড়া নিজেদের রাজ্যের শাসন বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে যোজনার লাভ নিতে পারবেন। এছাড়া নিজেদের এলাকার পঞ্চায়েত ব্লক অফিস জেলাসদর অফিসে গিয়েও যোগাযোগ করলে তারা আপনাদের সাহায্য করে দিতে পারবেন।

 

Advertisement