scorecardresearch
 

ইতিহাস, মিথ আর ভক্তি, দেবী চৌধুরানী মন্দিরের কালীপুজোর USP

শিকারপুর চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রামে ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরানী মন্দির। ইতিহাস এবং কিংবদন্তি মিলেমিশে একাকার এই মন্দিরে। পুজোর আকর্ষণ এর রাত্রিকালীন অ্যাডভেঞ্চার।

Advertisement
শিকারপুরের দেবী চৌধুরানী মন্দির শিকারপুরের দেবী চৌধুরানী মন্দির
হাইলাইটস
  • ইতিহাস-মিথ- ভক্তি নিয়ে হয় পুজো
  • দেবী চৌধুরানী মন্দির এখনও বিস্ময়
  • ভক্তিতে খামতি নেই, আছে অ্যাডভেঞ্চার

জলপাইগুড়ি জেলার শিকারপুর চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রামে ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরানী মন্দির। ইতিহাস এবং কিংবদন্তি মিলেমিশে একাকার এই মন্দিরে। তার উপর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস আনন্দমঠ-এ ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় মানুষরা মনে করেন এ দেবী চৌধুরানী, সেই দেবী চৌধুরানীই। এমনকী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদুঘরে একটি বজরা সংরক্ষণ করা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এটি দেবী চৌধুরানীর বজরা। যদিও সেটা নিয়ে প্রামাণ্য পৌঁছতে পারেননি এখনও পর্যন্ত গবেষকরা, তবু বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর । 

দেবী চৌধুরানী মন্দির

গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে পাশাপাশি দুটি মন্দির। তার মধ্যে একটি মা কালীর মন্দির। মন্দিরের পাশে যে মন্দিরটি রয়েছে, তাতে একটি পুরুষ ও নারী মূর্তি রয়েছে। পাশাপাশি বাঘ, শিয়াল ও আরও কিছু বিগ্রহ আছে। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন এটি শিব-পার্বতীর মন্দির। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, বিগ্রহটি ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর। মূলত দেবী চৌধুরানীর মন্দিরের খ্যাতিতেই দেশ বিদেশের পর্যটকরা এখানে আসেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে এটি বাড়তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

নাম দুটোই ক্রাউডপুলার

ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরানী, নাম দুটো বাঙালির কাছে ইতিহাসের চেয়েও বেশি। কিছুটা ইতিহাস, কিছুটা জনশ্রুতি। কিছুটা লেখনীর গুনে জীবন্ত হয়ে ওঠা দুটি চরিত্র। কয়েকশো বছর ধরেই বাঙালির মনে গেঁথে রয়েছে। বিখ্যাত উপন্যাস আনন্দমঠ এর চরিত্র হওয়ার কারণে মানুষের কাছে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। পড়তে পড়তে কখন সত্যি-মিথ্যা, কিংবদন্তি, আসল-নকল মিলেমিশে এক হয়ে কালোত্তীর্ণ হয়ে যায়, তা সাধারণ বোধের বাইরে চলে যায়, তাদের নামে যখন মন্দির, তখন তার সঙ্গে যে কিছুটা ইতিহাস, কিছুটা মিথ জড়িয়ে থাকবে তা আশ্চর্য কি?

মন্দিরের কালীপুজোও জাগ্রত

তবে এখানকার কালীমন্দিরও কিন্তু সমধিক জাগ্রত ও পূজিত। এই মন্দিরে প্রতি বছর দুবার নিয়ম করে কালীপুজো হয়। একবার আষাঢ় মাসে, আরেকবার কার্তিক মাসে। খুব বড় না হলেও, নিয়ম নিষ্ঠায় ঘাটতি থাকে না। বরং এখানকার কালীপূজার আলাদা আস্বাদ রয়েছে। যেটা এখনও সম্পূর্ণ চলে যায়নি। যেহেতু চারিদিকে ঝোপ জঙ্গলে ভরা, এই মন্দির, তাই আধুনিকতার ভিড়ে এখনও পর্যন্ত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি কংক্রিটের জঙ্গল। তাই শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ রাতে গাড়ি নিয়ে গিয়ে সারারাত জেগে এই পুজো দেখতে যান। পুজো দেখাও হয় পাশাপাশি কিছুটা অ্যাডভেঞ্চারও হয়।

Advertisement

 

Advertisement