গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। প্রতিমাসে একথা শোনা যায়। কখনও সেই গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ থেকে আবার কখনও অনেকটা দূর থেকেই চলে যায়। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর প্রকৃত বিপদ যদি কোনও বস্তু হয় তবে তার নাম গ্রহাণু। যদি কখনও একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে আসতে থাকে এবং দিক পরিবর্তন না করে, তবে বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। এমনকী পৃথিবীর বিশাল ক্ষতি হতে পারে। মৃত্যু হতে পারে লাখ লাখ মানুষেক।
এই ধরনের গ্রহাণুকে দূরে রাখতে বা তার দিক পরিবর্তন করতে নাসা গত বছর ডার্ট মিশন চালু করেছিল। আগামী মাসের ২৬ তারিখে এই মিশনের অঙ্গ হিসেবেই গ্রহাণুতে আঘাত হানা হবে। লক্ষ্য সেই গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করে দেওয়া।
আরও পড়ুন : বাইরের খাবার দাঁতে কেটেও দেখলেন না, CBI হেফাজতে কী খাচ্ছেন অনুব্রত?
পৃথিবীকে গ্রহাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে NASA-র এই মহাকাশযান গ্রহাণুর সঙ্গে নিজের সংঘর্ষ ঘটাবে। যাতে সেই গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন হয়। তবে এই সংঘর্ষে গ্রহাণুটি সত্যিই দিক পরিবর্তন করবে কি না তা জানা যায়নি এখনও।
এই মহাকাশযানটি ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৭৬০ কিলোমিটার বেগে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ করবে। এরপর সেই গ্রহাণুর দিক পরিবর্তিত হল কি না তাও জানা যাবে। সংঘর্ষের সময় গ্রহাণুর বাতাস, ধাতু, ধূলিকণা, মাটি ইত্যাদি নিয়েও গবেষণা হবে।
এই মিশনের নাম ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (Double Asteroid Redirection Test - DART)। যে কৌশল ব্যবহার করে এই কাজটি করা হবে তার নাম কাইনেটিক ইম্প্যাক্টর টেকনিক। এই কৌশল তৈরির প্রধান লক্ষ্যই হল গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করানো।
আরও পড়ুন : শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, আজ থেকেই টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, কতদিন চলবে ?
এই মহাকাশযানের মাধ্যমে নাসা যে গ্রহাণুটিকে আক্রমণ করবে তার নাম ডিডিমোস। ডিডাইমোস গ্রহাণুটির ব্যাস ২৬০০ ফুট। এর চারপাশে চাঁদের মতো একটি ছোট পাথরও রয়েছে। তার নাম ডিমারফোস। এই পাথরটিকেই টার্গেট করবে NASA। এরপর পৃথিবীতে টেলিস্কোপ থেকে উভয়ের গতির পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করা হবে।
NASA-র প্ল্যানেটারি ডিফেন্স অফিসার লিন্ডলি জনসন জানিয়েছেন, ওই মহাকাশযানের লক্ষ্য, গ্রহাণুতে আঘাত করা। গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার বেগে এটি গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ করবে।