scorecardresearch
 

National Anthem And National Song Of India : 'জনগণমন' নাকি 'বন্দে মাতরম', কোনটি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত?

বন্দে মাতরম হল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ উপন্যাসের একটি কবিতা। ১৮৯৬ সালে প্রথমবার গানটি গাওয়া হয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গেও এই গানটি ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। তবে যখন জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচনের বিষয় আসে, তখন বন্দে মাতরমের পরিবর্তে জনগণমনকেই বেছে নেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement
ভারতের জাতীয় পতাকা ভারতের জাতীয় পতাকা
হাইলাইটস
  • ভারতের জাতীয় সঙ্গীত জনগণমন
  • জাতীয় গান বন্দে মাতরম
  • জানুন গোটা ইতিহাস

প্রত্যেক দেশেরই নিজস্ব জাতীয় সঙ্গীত থাকে। ব্যতিক্রম নেই ভারতেরও। এছাড়া ভারতের জাতীয় গানও রয়েছে। এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় গানের মধ্যে পার্থক্য আছে। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় গান দু'জন বিখ্যাত মানুষের রচনা। দেশের জাতীয় সঙ্গীত হল জনগণমন, যেটি রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। আর জাতীয় গান হল বন্দে মাতরম (Vande Mataram), যার রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (Bankim Chandra Chattopadhyay)। যদিও জাতীয় গানের সুরারোপ অবশ্য করেন রবীন্দ্রনাথই। 

কবিগুরুর রচিত জনগণমন গানটি প্রথম গাওয়া হয়েছিল ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় আয়োজিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে। আর তার ঠিক পরের দিন দ্য বেঙ্গলি পত্রিকায় গানটির ইংরেজি অনুবাদসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯১২ সালের জানুয়ারি মাসে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় ভারত-বিধাতা নামে প্রকাশিত হয় গানটি। তারও পরে গানটির ইংরেজি অনুবাদ করেন রবীন্দ্রনাথ। পরবর্তীকালে ১৯৩৭ সালে প্রথম সুভাষচন্দ্র বসু (Subhas Chandra Bose) জনগণমন-কে জাতীয় সঙ্গীত করার প্রস্তাব করেন।

এরপর কেটে যায় আরও অনেকগুলো বছর। ১৯৪৭-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনও একটি অনুষ্ঠানে বাজানোর জন্য জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় প্রতিনিধিদের থেকে জাতীয় সংগীতের একটি রেকর্ড চাওয়া হয়। তাঁরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানান এবং জনগণমন-কেই (Jana Gana Mana) বাজানোর পক্ষে মত দেন। এরপর সরকারের অনুমতি অনুসারে জাতিসংঘের অর্কেস্ট্রাবাদনের একটি রেকর্ড সেই অনুষ্ঠানে বাজানো হয়। আরও পরে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরাও এই গানটিকেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত করার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। যার জেরে ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি জনগণমনকেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বা ন্যাশনাল অ্যানথেম (National Anthem) হিসেবে গ্রহণ করা হয়। 

এদিকে বন্দে মাতরম হল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ উপন্যাসের একটি কবিতা। ১৮৯৬ সালে প্রথমবার গানটি গাওয়া হয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গেও এই গানটি ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। তবে যখন জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচনের বিষয় আসে, তখন বন্দে মাতরমের পরিবর্তে জনগণমনকেই বেছে নেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয় জনগণমনর মতো একই মর্যাদা দেওয়া হবে বন্দে মাতরমকেও। সেই মতো ১৯৫০-এর ২৪ জানুয়ারি জনগণমনকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করার পাশাপাশি বন্দে মাতরমকে জাতীয় গান (National Song Of India) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। 

Advertisement

Advertisement