New Year Major Festivals And Holidays: নতুন বছরের আর খুব বেশি দেরি নেই। বছর শুরুর আগে থেকেই মানুষ বড় উৎসব, ছুটি আর বিশেষ তিথি নিয়ে আগাম পরিকল্পনা করে রাখেন। বিশেষ করে হোলি, দীপাবলি, রাখি বন্ধন, দশেরা কিংবা করবা চৌথ, এই জনপ্রিয় উৎসবগুলি কোন তারিখে পড়ছে তা জানতে আগ্রহী অনেকে। তাই আগেই দেখে নিন ২০২৬ সালের গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের তালিকা।
লোহরি : বুধবার, ১৪ জানুয়ারি
উত্তর ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব। বিশেষ করে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ফসল কাটার আনন্দে লোহরি উদ্যাপন করা হয়। আগুন জ্বালিয়ে তার মধ্যে তিল, মুড়ি, গুড় ও বাদাম ফেলা হয়। চারপাশে গিদ্দা বা ভাংরা নাচের মধ্যেই জমে ওঠে উৎসবের আমেজ।
হোলি : বুধবার, ৪ মার্চ
৩ মার্চ হবে হোলিকা দহন, আর পরদিন ৪ মার্চ খেলবে রঙের হোলি। প্রহ্লাদ–হোলিকার পৌরাণিক কাহিনির স্মরণে এই দিন দহনকুণ্ড প্রজ্বলিত করা হয়।
চৈত্র নবরাত্রি : শুক্রবার, ২০ মার্চ
মা দুর্গার নবরূপের আরাধনায় শুরু হবে চৈত্র নবরাত্রি। উপবাস, পুজো আর আচার–অনুষ্ঠানে ভরে ওঠে এই নয় দিন।
অক্ষয় তৃতীয়া : সোমবার, ২০ এপ্রিল
নতুন কাজের সূচনা, সোনা কেনা, দান-পুণ্য সব ক্ষেত্রেই অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটি অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
দেবশয়নী একাদশী : শনিবার, ২৫ জুলাই
এই দিনে বিষ্ণু দেবতা যোগনিদ্রায় প্রবেশ করেন। ফলে চার মাস ধরে নানা শুভ ও মাঙলিক কাজ স্থগিত রাখা হয়।
রাখি বন্ধন : শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট
ভাই-বোনের বন্ধনের প্রতীক এই উৎসবে বোনেরা ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধেন। ভাইও উপহার দিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন।
জন্মাষ্টমী : শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর
ভগবান কৃষ্ণের জন্মতিথি। গৃহে-মন্দিরে কৃষ্ণ লীলার নানা আচার পালিত হয়।
পিতৃপক্ষ শুরু : রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর
পিতৃপুজো, শ্রাদ্ধ ও পিণ্ডদান শুরু হয় পিতৃপক্ষের এই দিন থেকে।
শারদীয় নবরাত্রি শুরু : রবিবার, ১১ অক্টোবর
মা দুর্গার পূজার আদি প্রস্তুতি শুরু হয় এই তিথি থেকে।
দশেরা :মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর
অসুরের উপর শুভের জয়ের দিন। রাবণের প্রতিকৃতি দাহ করে উৎসব পালন করা হয়।
করবা চৌথ : বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর
বিবাহিত মহিলারা স্বামীর দীর্ঘায়ুর জন্য নির্জলা উপবাস রাখেন।
ধনতেরাস : শুক্রবার, ৬ নভেম্বর
সোনা, রুপো, বাসন বা মূল্যবান সামগ্রী কেনার জন্য এই দিনটি বিশেষ শুভ বলে মানা হয়।
নরক চতুর্দশী : শনিবার, ৭ নভেম্বর
ছোট দীপাবলি নামেও পরিচিত। ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানো ও যমরাজের পূজা করা হয়।
দীপাবলি : রবিবার, ৮ নভেম্বর
মা লক্ষ্মী ও গণেশের আরাধনায় আলোয় ভরে ওঠে ঘর। ধন–সম্পদের বর পাওয়ার আশায় লক্ষ্মী পুজো হয়।
গোবর্ধন পূজা : মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর
কৃষ্ণের গোবর্ধন লীলার স্মরণে পাহাড়–পুজো ও নানা আচার পালিত হয়।
ভাই দুজ : বুধবার, ১১ নভেম্বর
এই দিনে বোনেরা ভাইয়ের কপালে তিলক লাগায় এবং মঙ্গল কামনা করে।
দেবউত্থানী একাদশী : শুক্রবার, ২০ নভেম্বর
এই দিনে বিষ্ণু দেব যোগনিদ্রা থেকে জাগ্রত হন। বহু শুভ, বিবাহ ও মাঙলিক কাজ আবার শুরু হয়।