scorecardresearch
 

Swami Vivekananda : কাঁচা লঙ্কা বড্ড ভালোবাসতেন স্বামীজি, করেছিলেন নিজের মৃত্যুর ভবিষ্যৎবাণীও

এই বীর সন্ন্যাসী দেহ রাখেন মাত্র ৩৯ বছর বয়সে। অথচ জানলে অবাক হবেন, বিবেকানন্দ নিজের মৃত্যুর ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। শংকরের লেখা , 'জানা-অজানা বিবেকানন্দ' বই থেকে জানা যায়, ১৯০২ সালে ২ জুলাই, শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতাকে নিজের হাতে খাইয়েছিলেন বিবেকানন্দ।

Advertisement
স্বামী বিবেকানন্দ স্বামী বিবেকানন্দ
হাইলাইটস
  • বিবেকানন্দ নিজের মৃত্যুর ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন
  • কী বলেছিলেন তিনি ? জানুন

১৮৬২ সালের ১২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেই ১২ জানুয়ারি জাতীয় যুব দিবস হিসেব পালিত হয় গোটা দেশে। বিবেকানন্দের বাড়ির দেওয়া নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। ডাকনাম ছিল বিলে। মহান এই বীর বাঙালি জাতি ও হিন্দু ধর্মকে বিশ্বের মঞ্চে তিনিই প্রথম প্রতিষ্ঠিত করেন। শিকাগোর সেই ধর্ম সভার কথা সবার জানা। বাঙালি তথা দেশবাসীর কাছে বিবেকানন্দ এক আবেগ-প্রেরণার নাম। 

এই বীর সন্ন্যাসী দেহ রাখেন মাত্র ৩৯ বছর বয়সে। অথচ জানলে অবাক হবেন, বিবেকানন্দ নিজের মৃত্যুর ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। শংকরের লেখা , 'জানা-অজানা বিবেকানন্দ' বই থেকে জানা যায়, ১৯০২ সালে ২ জুলাই, শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতাকে নিজের হাতে খাইয়েছিলেন বিবেকানন্দ। গুরুর মৃত্য়ুর পর এই তথ্য নাকি সামনে আনেন নিবেদিতা। যেদিন তাঁকে নিমন্ত্রণ করে বিবেকানন্দ খাইয়েছিলেন, সেদিন নাকি কথা, আকার ইঙ্গিতে নিজের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন স্বামীজি। তবে শিষ্যা নিবেদিতা তখন তা বুঝতে পারেননি। তবে স্বামীজির মৃত্যুর পর তিনি সব বুঝতে পারেন। লেখক শংকরের বই থেকে এও জানা যায়, যখন স্বামীজি দেহ ত্যাগ করছেন তখন ভগ্নী নিবেদিতা স্বপ্নে দেখেন, রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের দেহ দ্বিতীয় বার ধরাধাম ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়। স্বামীজি তাঁর অনুগামী স্বামী অভেদানন্দকেও মৃত্যুর সাল বলে দিয়েছিলেন। মৃত্যুর ৫ বছর আগেই তাঁর মহাপ্রয়াণে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন।

জানা যায়, শিশুকাল থেকেই নরেন্দ্রনাথ মাছ-মাংস খেতে ভালোবাসতেন। শ্রীরামকৃষ্ণও সেই কথা জানতেন। বিভিন্ন বই থেকে জানা যায়, সেই ছেলেবেলা থেকেই কচুরি এবং নোনতার প্রতি বড্ড ভালবাসা ছিল নরেন্দ্রনাথের। বন্ধু রাখালের জন্য কচুরি কিনিয়ে আনাতেন। পরবর্তীকালে সেই রাখালই হন স্বামী ব্রহ্মানন্দ। মাঝে মাঝেই কলকাতার সব দোকানে যেতেন কচুরির জন্য। বিদেশে গিয়েও তিনি নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন গরমাগরম কচুরি আর তরকারি। তার পর তৃপ্তি করে তা খেতেন। এছাড়াও ঝালের মধ্যে চানাচুর ছিল তাঁর প্রিয়। 

Advertisement

শোনা যায়, স্বামীজির প্রিয় খাবারের তালিকাতে ছিল মিষ্টিও। যদিও এই তথ্য নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে লঙ্কা প্রীতি ছিল স্বামীজির। বিবেকানন্দ গবেষর শংকরের বই থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। অসুস্থ থাকার সময় খিচুড়িতে মিষ্টি দেওয়া হয়েছে বলে লঙ্কা চিবিয়ে খেতেন। এমনকী লন্ডনে তিনি লঙ্কা কিনে খেয়েছিলেন। আবার আইসক্রিম ছিল তাঁর প্রিয়। তবে শুধু খেতে নয়, খাওয়াতেও ভালোবাসতেন স্বামীজি। রান্নাও জানতেন খুব ভালো। 

 

Advertisement