7 years Crorepati Ticks: ২.৪ লাখ থেকে ১ কোটি! কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করলেন এই যুবক?

মাত্র ₹২.৪ লাখ বার্ষিক বেতন থেকে শুরু করে ৭ বছরে ₹১ কোটি টাকার সম্পদ! বেঙ্গালুরুর এক প্রযুক্তিপ্রেমীর বিনিয়োগ ও সংযমের বাস্তব গল্প। আপনারও হতে পারে কোটি টাকার মালিক—জানুন তার কৌশল!

Advertisement
২.৪ লাখ থেকে ১ কোটি! কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করলেন এই যুবক?২.৪ লাখ থেকে ১ কোটি! কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করলেন এই যুবক?

মাত্র ৭ বছরে কীভাবে একজন মানুষ ২.৪ লাখ বার্ষিক প্যাকেজ থেকে শুরু করে ১ কোটি সম্পত্তি তৈরি করলেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সেই ব্যক্তিই, যিনি বেঙ্গালুরুতে কাজ করেন এবং নিজেই নিজের কাহিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সঠিক বিনিয়োগ, নিয়ন্ত্রিত খরচ এবং সংযমী জীবনের মাধ্যমেই এই অর্থনৈতিক অর্জন সম্ভব হয়েছে।

কে এই ব্যক্তি?
এই টেকি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, যিনি ২০১৭ সালে ₹২.৪ লাখ বার্ষিক প্যাকেজ নিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তার বার্ষিক বেতন ₹২০ লাখেরও বেশি। কিন্তু, তার আসল সাফল্য হলো তার ₹১ কোটি টাকার মোট সম্পত্তি, যার মধ্যে রয়েছে স্টক, মিউচুয়াল ফান্ড, গোল্ড বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট এবং ইমারজেন্সি ফান্ড।

কীভাবে করলেন এই অর্জন?

১. প্রথম থেকেই বিনিয়োগ শুরু:
তিনি বলেন, প্রথম মাস থেকেই তিনি SIP (Systematic Investment Plan)-এর মাধ্যমে বিনিয়োগ শুরু করেন। প্রথম বছরে মাত্র ₹৫০০ করে শুরু করেন এবং সময়ের সাথে সেটি বাড়িয়ে ₹৫,০০০ করেন।

২. বোনাস ও বাড়তি ইনকামের ব্যবহার:
প্রতিবার স্যালারি বাড়লে বা ইনসেন্টিভ পেলে তার অর্ধেক অংশ তিনি বিনিয়োগ করতেন। কোনও বড় খরচের জন্য আলাদা করে টাকা রাখতেন।

৩. কোন কোন জায়গায় বিনিয়োগ:
মিউচুয়াল ফান্ড: ₹৪০ লাখ

স্টক মার্কেট: ₹২৫ লাখ

গোল্ড বন্ড: ₹১০ লাখ

ফিক্সড ডিপোজিট ও অন্যান্য: ₹১৫ লাখ

ইমারজেন্সি ফান্ড ও নগদ: ₹১০ লাখ

৪. ঋণ নেননি:
তিনি কোনও গাড়ি বা ইলেকট্রনিক্স কিনতে লোন নেননি। সবকিছু নিজেই সঞ্চয় করে কিনেছেন।

৫. সহজ জীবন যাপন:
ফ্যাশন, গ্যাজেট বা ব্যয়বহুল খরচের পিছনে না ছুটে, তিনি তার জীবন চালিয়েছেন খুবই সাদাসিধে ভাবে। তিনি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন এবং খাবার খরচে সংযম বজায় রাখতেন।

৬. সস্তা শহরে থাকা:
তিনি শুরুতে Tier-2 শহরে কাজ শুরু করেন, যেখানে খরচ অনেক কম ছিল। পরে বেঙ্গালুরুতে এসে থাকলেও আগের মতোই হিসেব করে খরচ করতেন।

Advertisement

আপনি কী শিখতে পারেন?

আপনার আয় যতই হোক, সঠিক পরিকল্পনায় আপনি বড় লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন। বিনিয়োগের শুরু যত তাড়াতাড়ি করবেন, ভবিষ্যতে ততই লাভবান হবেন। খরচের উপর নিয়ন্ত্রণ, অনর্থক ঋণ না নেওয়া, এবং ধারাবাহিক বিনিয়োগ—এই তিনটি হল সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

 

POST A COMMENT
Advertisement