scorecardresearch
 

চোখ রাঙাচ্ছে তিস্তা, অস্তিত্ব সঙ্কটে সিকিমের সঙ্গে সড়কপথে দেশের যোগাযোগ

সিকিম যাওয়ার একমাত্র সড়ক পথ প্রায় ধ্বংসের মুখে। বারবার একের পর এক ধস রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বিকল্প রাস্তা তৈরিই একমাত্র পথ, মত ইঞ্জিনিয়ারদের।

Advertisement
এ দৃশ্যের বদল চান এ দৃশ্যের বদল চান
হাইলাইটস
  • ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বিপন্ন
  • বিকল্প রাস্তা চান ইঞ্জিনিয়াররা
  • সিকিমের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ এই রাস্তা দিয়েই

সিকিম যাওয়ার একমাত্র সড়ক পথ প্রায় ধ্বংসের মুখে। বারবার একের পর এক ধস রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি করেছে। প্রতিবারই ধস সরিয়ে রাস্তা যানজট মুক্ত করা হয়। ফের নতুন করে ধস নেমে রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। শুধু রাস্তা নষ্ট হয়। পাহাড়ের গা বেয়ে থাকা ভাইরাস থেকে আপাতত হাইলি ড্য়ামেজড বলে চিহ্নিত করে রিপোর্ট পাঠিয়েছে পূর্ত দফতর।

এই রাস্তা নতুন করে তৈরি না হলে সিকিম ও কালিম্পংগামী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বারবার বিপর্যস্ত হতে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এটি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দ্বারাই মেনটেন করা হয়। তাই কেন্দ্রের কাছে রাস্তা নিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।


কালিঝোরা, হনুমানঝোরা, সেতিঝোরা, বিরিকদারা সহ বিভিন্ন এলাকাগুলি বারবার বিধ্বস্ত হয়েছে। কালিম্পং এর কাছে ১০ মাইলে প্রায়ই ধস নেমে বারবার মেরামত করা হলেও আবার ধস নেমে রাস্তা তিস্তার গর্ভে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে ১১ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। পাশাপাশি রম্ভিতে তিস্তার লোয়ার প্রোজেক্ট ড্যামের কারণে তিস্তার জল এত বাড়ছে যে পাহাড়ের দুদিকের দেওয়ালে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যা যে কোনও দিন বিপর্যয় ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি জলের তোড়ে পাহাড় ফেটে যায়, তাহলে উত্তরাখণ্ড বা তার চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি দাঁড়াতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন আশপাশ এলাকার বহু বাসিন্দা। এ নিয়ে বারবার বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছানো হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সদর্থক বিকল্প কোনও চিন্তা-ভাবনা কেন্দ্র-রাজ্য কারও তরফেই দেখা যায়নি।


সিকিম, চিন, তিব্বত সীমান্ত পর্যন্ত বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন-এর রাস্তা কেটে নতুন করে বানানো হয়েছিল। তারপর দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি। শুধুমাত্র ধস নামলে তা ছড়িয়ে যাতায়াতের রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে।
গোটা দেশের সঙ্গে সড়কপথের সিকিমের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা না হলেও এটিই প্রধান রাস্তা। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সিকিমের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার দ্রুততম রাস্তা।

Advertisement

 

ফলে এ রাস্তা বন্ধ হলে বিকল্প পথে সিকিম এবং কালিম্পং এ যাওয়া যায় বটে তবে তাতে তিন থেকে চার ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় লাগে। এমনিতেই শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক পৌঁছাতে সময় লাগে ৪ ঘন্টা। তাতে যদি আরও ৩-৪ ঘন্টা সময় বেশি লাগে। তাহলে যাতায়াত দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। যারা সিকিমের বাসিন্দা তাদের বাধ্য হয়েই বিকল্প রাস্তা অবলম্বন করতে হয় কিন্তু তাতে খরচ এবং পরিশ্রম পারবে ৪ ঘন্টা।

 

Advertisement