7 Most Dangerous Cloudbursts Zones India: দেশের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ৭টি এলাকা, যেখানে যখন তখন মেঘ ভাঙে

7 Most Dangerous Cloudbursts Zones: ষ্টিপাতের ফলে মাটি ও পাথর ধসে পড়ে, গ্রাম ও সম্পত্তি চাপা পড়ে। জীবন ও সম্পদের ক্ষতি: মানুষ ভেসে যায়। গবাদি পশু মারা যায়। ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। যোগাযোগ বিঘ্নিত: রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকে।

Advertisement
দেশের ভয়ঙ্কর ৭টি এলাকা, যেখানে যখন তখন মেঘ ভেঙে বিপর্যয় ঘটেদেশের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ৭টি এলাকা, যেখানে যখন তখন মেঘ ভাঙে

7 Most Dangerous Cloudbursts Zones: পাহাড়ি অঞ্চলে মেঘ ভাঙনের ঘটনা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছে। এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যেখানে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হয়, যার ফলে বন্যা এবং ভূমিধস হয়। ভারতের কিছু অঞ্চল মেঘ ভাঙনের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তুমি কি জানো এই ৭টি সবচেয়ে বিপজ্জনক অঞ্চল কোনগুলো? সেখানে কী কী বিপদ রয়েছে? 

দেশের ৭টি সবচেয়ে বিপজ্জনক অঞ্চল
হিমালয় অঞ্চল এবং পাহাড়ি অঞ্চলে মেঘ ভাঙনের ঘটনা বেশি ঘটে। ভারতের ৭টি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল এগুলি।

১. জম্মু ও কাশ্মীর: অমরনাথ গুহা, গান্দেরবাল, পহেলগাম এবং কিশ্ত্বারের মতো এলাকা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২২ সালে, অমরনাথে মেঘ ভাঙনের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়।

২. লাদাখ: ২০১০ সালে লেহ অঞ্চল মেঘ ভাঙনে বিধ্বস্ত হয়, ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

দার্জিলিং

৩. হিমাচল প্রদেশ: কুল্লু, কিন্নর, চাম্বা, ধর্মশালা এবং মানালির মতো অঞ্চলগুলি প্রতি বছর বর্ষাকালে ঝুঁকিপূর্ণ হয়। মান্ডি 2025 সালে 14টি মেঘ বিস্ফোরণের ঘটনা দেখেছে।

৪. উত্তরাখণ্ড: কেদারনাথ (2013) চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ তেহরি এবং পিথোরাগড় বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে৷সম্প্রতি, ৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে, ধরলিতেও ধ্বংসযজ্ঞ দেখা দিয়েছে।

৫. সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ: তাওয়াং, আপার সিয়াং এবং উত্তর সিকিমেও মেঘ ভাঙনের ঘটনা ঘটে, যদিও এর খবর কম।

৬. মহারাষ্ট্র: ২০০৫ সালে, মুম্বাইতে মেঘ ভাঙনের ফলে ৯৪৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়, যা শহরটিকে ডুবিয়ে দেয়।

৭. কেরালা: ২০১৮ সালে, ইদুক্কি এবং ওয়ানাডে মেঘ ভাঙনের ফলে ভয়াবহ বন্যা হয়, যেখানে ৩২৪ জন মারা যায়।

দেশের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ৭টি এলাকা, যেখানে যখন তখন মেঘ ভাঙে

সেখানে কী কী বিপদ রয়েছে?
মেঘ ভাঙনের ফলে অনেক বিপদ দেখা দেয়, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায়...
আকস্মিক বন্যা: হঠাৎ করে জলের ঢেউ বাড়িঘর, রাস্তাঘাট এবং যানবাহন ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

ভূমিধ্বস: বৃষ্টিপাতের ফলে মাটি ও পাথর ধসে পড়ে, গ্রাম ও সম্পত্তি চাপা পড়ে। জীবন ও সম্পদের ক্ষতি: মানুষ ভেসে যায়। গবাদি পশু মারা যায়। ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। যোগাযোগ বিঘ্নিত: রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকে।

Advertisement

ফসলের ক্ষতি: বন্যায় ক্ষেত ডুবে যায়, কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরিবেশগত ক্ষতি: বন এবং নদী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে বাস্তুতন্ত্রের অবনতি ঘটে।

দেশের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ৭টি এলাকা

বিজ্ঞানীরা কী বলছেন?
বিজ্ঞানীদের মতে, মেঘ ভাঙনের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে...

জলবায়ু পরিবর্তন: উষ্ণ পৃথিবী বাতাসে আরও আর্দ্রতা ধরে রাখে, যার ফলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। তাপমাত্রার প্রতি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির সাথে সাথে বাতাস ৭% বেশি আর্দ্রতা শোষণ করে।
পাহাড়ি ভূগোল: হিমালয়ের মতো উঁচু পর্বতমালা আর্দ্র বাতাস তুলে নেয়, যার ফলে মেঘলা বিস্ফোরণ ঘটে। এই প্রক্রিয়াটিকে অরোগ্রাফিক উত্তোলন বলা হয়।

বর্ষা এবং পশ্চিমা বিস্ফোরণ: মৌসুমি বিস্ফোরণের আর্দ্রতা এবং পশ্চিমা বিস্ফোরণের সংমিশ্রণ অস্থির আবহাওয়া তৈরি করে, যা মেঘলা বিস্ফোরণের ঘটনা বৃদ্ধি করে। 
হিমবাহ গলে যাওয়া: হিমালয়ের হিমবাহ গলে বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়, যা বৃষ্টিপাতকে আরও তীব্র করে তোলে।

মানুষের কার্যকলাপ: বন উজাড়, অবৈধ খনন এবং বসতি সম্প্রসারণ মাটিকে দুর্বল করে, বিপদ বৃদ্ধি করে।
 

 

POST A COMMENT
Advertisement