চাঁদ থেকে মাটি আনা হচ্ছে। পাথর আনা হচ্ছে। চাঁদে মানুষ ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছে। কিন্তু তাও অনেকবার চাঁদকে নিয়ে পুজো করা হয়। তার নামে ব্রত রাখা হয়। কিন্তু যদি চাঁদ গ্যাসের তৈরি হতো? তাহলে কী হতো?
তাহলে কী এই সমস্ত কাজ মানুষ করতে পারতো? আমাদের সৌরমণ্ডলের অন্তরীক্ষে উপস্থিত থাকা গ্রহের নির্মাণ দু'রকমের হয়। প্রথম এক প্রকার পাথর দিয়ে তৈরি হয় এবং দ্বিতীয়ত গ্যাস দিয়ে তৈরি হয়। প্রশ্ন হচ্ছে এটা যে আমাদের সৌরমণ্ডলের এমন গ্যাসের নির্মিত গ্রহ, যা গ্যাস দিয়ে তৈরি, তা কী উপস্থিত রয়েছে? কারণ ইউনিভার্সিটি ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাস্ট্রোনমি বিশেষজ্ঞ জোনাথন লুনিন জানিয়েছেন যে এটা অত্যন্ত ভালো খবর যে আমাদের আশপাশে কোন গ্যাস ওয়ালা চাঁদ নেই। আসলে আমাদের সৌরমন্ডলে কোন গ্যাস ওয়ালা চাঁদই নেই। কারণ আমাদের সৌরমণ্ডলের স্থিতি হয়তো তাদের অনুকূল নয়। এটা বলতে পারি যে আমাদের অনুকূল রয়েছে অর্থাৎ মানুষের এবং অন্য গ্রহে হিসেবে তা সঠিক স্বস্তিদায়ক।
গ্যাসে বদলে গেলেই চাঁদের আকার পৃথিবীর মতো হয়ে যাবে
জোনাথন জানিয়েছে যে গ্যাস দিয়ে যদি চাঁদ তৈরি হয় তাহলে তার নির্মাণ আশপাশের উপস্থিত তাপমাত্রা এবং তার ওজন এবং অন্য অন্তরীক্ষ শক্তির উপর নির্ভর করবে। যেমন কোনও আশপাশের গ্রহ অথবা বস্তুর গুরুত্ব ও আকর্ষণ শক্তি, মনে করুন আমাদের পাথরের চাঁদ যদি হাইড্রোজেন গ্যাসের চাঁদে বদলে গিয়ে থাকে, তাহলে কী হবে, হাইড্রোজেন গ্যাস পাথরের চেয়ে কম ঘনত্ব যুক্ত পদার্থ হয়ে উঠবে। হঠাৎ এই সময়ে আমাদের চাঁদ আকার বাড়াতে শুরু করবে এবং তা পৃথিবীর আকারের সমান হয়ে যাবে। অর্থাৎ বেলুনের মতো ফুলে যাবে।
সূর্য গরম হলেই গ্যাস ভ্যানিশ
কিন্তু এটা শুধুমাত্র আকারেই গুরুত্ব রাখে তা নয় এর তাপমাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জোনাথন জানিয়েছেন যদি আমরা এখন বলি যে পাথরে চাঁদের জন্য এবং তার চারদিকে হাইড্রোজেনের বায়ুমণ্ডল বানিয়ে দিতে, তাহলে আমরা এটা জানতে পারব হাইড্রোজেন বায়ুমণ্ডলের থার্মাল প্রভাব অর্থাৎ আলাদা আলাদাভাবে গরমের কারণে শেষ হয়ে যাবে হঠাৎ যত বেশি সূর্য গরম হবে, তত তাড়াতাড়ি হাইড্রোজেন গ্যাস বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে।
জোনাথন জানিয়েছেন যে এমনই কিছু প্লুটোর সঙ্গে হয়েছে। চলুন এখন এটা জেনে নিই যে আমরা গ্যাসওয়ালা চাঁদ যদি পৃথিবীর আকারে হয়ে যায়, তো কী হবে? প্রথম কথা যে এটি ওই চাঁদের আশপাশে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম হবে। আসলে পৃথিবীর আকার গোলাকার নয়। এটি একটু চ্যাপ্টা। কিন্তু চাঁদের বড় হওয়ার কারণে এটি নষ্ট হয় না। কারণ পৃথিবীর ভেতর শক্তি রয়েছে। এটিকে বেঁধে রাখতে সাহায্য করে।
গ্যাসওয়ালা চাঁদ হলে তা টুকরো টুকরো হয়ে যেত
বলার মানে হলো এটাই যে এটি পৃথিবীর আকারের যদি হতো তাহলে আশপাশে অত্যন্ত ঠান্ডা হতো। পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকত এবং নিজেই পৃথিবীর শক্তির কারণে টুকরো টুকরো হয়ে যেত। দুই বা তার বেশি টুকরো হয়ে যেতে পারত। এখন প্রশ্ন হল যে আদৌ কি গ্যাসের চাঁদ সৌরমণ্ডলে মজুত রয়েছে?
জোনাথন জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত মানুষ এমন কোনও চাঁদের খোঁজ পায়নি, খোঁজেনি বলা যায়। যা গ্যাস দিয়ে তৈরি এবং নিজের চারিদিকে ঘুরছে। কিন্তু যদি বৃহস্পতিকে যদি গ্রহ এবং নেপচুনকে গ্যাসওয়ালা চাঁদ মনে করা হয়, তাহলে দুটি গ্রহের মধ্যে তৈরি হওয়া গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স নেপচুনের আকারের চাঁদকে শেষ করে দেবে। এটি অন্তরীক্ষকে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য জরুরি হবে। এই খবর লাইভসাইন্স এ প্রকাশিত হয়েছে।