শিলিগুড়িতে হবে নতুন উপনগরী। কেউ কেউ বলছেন আরও একটা সল্টলেক। কারণ জনসংখ্য়ার বিস্ফোরণ তো রয়েছেই, তার পাশাপাশি বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ গত দশ বছরে এসে শিলিগুড়িতে বসবাস শুরু করেছে।ফলে বিকল্প ভাবনা তৈরি করার প্রয়োজন ছিল। উত্তরায়ন উপনগরী এতটাই সাধারণের ধরা ছোঁয়ার বাইরে, যাতে সব শ্রেণির মানুষ হাত দিতে পারে না।
ফলে দ্বিতীয় সল্টলেক তৈরির এমন জল্পনায় আশা-নিরাশার দোলাচলে ভুগছেন শিলিগুড়ির শহরতলির বাসিন্দারা। কারণ কোথায় হবে এত বড় প্রকল্প, তাতে স্থানীয়দের কি লাভ হবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনার উপর জল্পনা। সব মিলিয়ে শিলিগুড়ি এখন ফুটছে নতুনের আশায়।
কেন্দ্রের অটল মিশনের অঙ্গ হিসেবে আম্রুত প্রকল্পে এই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। শহরকে প্রসারিত করতে গিয়ে শহরতলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। দুটি আলাদা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একটি শিলিগুড়ি লাগোয়া জলপাইগুড়ির একটি অংশ। যেখানে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকা এবং শিলিগুড়ি পুর এলাকা লাগোয়া মাটিগাড়া ব্লকের পাথরঘাটা এলাকা।
হায়দরাবাদের একটি সংস্থাকে সমীক্ষা করানোর কাজ শুরু হয়েছে। ল্যান্ড ইউজ, সোসিও ইকনমিক প্যারামিটারের মতো বিষয়গুলিকে বিবেচনা করে কাজ শুরু করা হবে। সমীক্ষার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে। এ নিয়ে ইতিমধ্য়েই রাজ্যের মুখ্য সচিব পরিকল্পনা খাতে সময় বরাদ্দ করেছেন। বৈঠকও হয়ে গিয়েছে।
তবে নতুন এলাকাগুলিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ এটি আলাদা এজেন্সি চালাবে। আলাদা থানা, পোস্ট অফিস, এবং প্রশাসনিক বোর্ড থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি পুরনিগম কিংবা পঞ্চায়েতের বাইরে তৃতীয় শক্তি পরিচালিত হবে। এমনিতেই শিলিগুড়ি পুরনিগমের এলাকা বৃদ্ধির দাবি অনেক আগে থেকেই রয়েছে। তার উপর নতুন করে এলাকা তৈরি করে জুড়ে দেওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে তা পরের কথা। এখন আগে সমীক্ষার দিকে নজর রাজ্যের।
শিলিগুড়িতে মাটিগাড়ার শিবমন্দির এলাকাতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আঠারোখাই পঞ্চায়েতকে কয়েক দশক ধরে আলাদা পুরসভা করার দাবি রয়েছে। সেটি পুরসভা করা হলে, বাগডোগরা বিমানবন্দরকে পুরসভার অধীন আনা হওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। অন্যদিকে শিলিগুড়ি পুরনিগমের অধীনে আরও কিছু এলাকা আনার প্রস্তাব রয়েছে।