scorecardresearch
 

Sculptures Of Unakoti: পাহাড়ে ৯৯,৯৯৯,৯৯৯ মূর্তি, ভারতের এই জায়গাটি কি বিশ্ব ঐতিহ্যের ট্যাগ পাবে?

ত্রিপুরার উনাকোটির ভাস্কর্যগুলিকে (Sculptures Of Unakoti) উত্তর-পূর্বের আঙ্কোর ওয়াট (Angkor Wat) বলা হয়। এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (World Heritage Site) ঘোষণার জন্য চেষ্টা চলছে। এই ভাস্কর্যগুলি ত্রিপুরার রঘুনন্দন পাহাড়ে (Tripura Raghunandan Hills) অবস্থিত একটি পাহাড়ে খোদাই করা হয়েছে। এখানে ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯টি প্রতিমা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
ত্রিপুরার উনাকোটির ভাস্কর্য ত্রিপুরার উনাকোটির ভাস্কর্য
হাইলাইটস
  • এখানে ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯টি প্রতিমা রয়েছে
  • সবচেয়ে বিখ্যাত হল শিবের মাথা এবং বিশাল গণেশ মূর্তি

ত্রিপুরার উনাকোটির ভাস্কর্যগুলিকে (Sculptures Of Unakoti) উত্তর-পূর্বের আঙ্কোর ওয়াট (Angkor Wat) বলা হয়। এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (World Heritage Site) ঘোষণার জন্য চেষ্টা চলছে। এই ভাস্কর্যগুলি ত্রিপুরার রঘুনন্দন পাহাড়ে (Tripura Raghunandan Hills) অবস্থিত একটি পাহাড়ে খোদাই করা হয়েছে। এখানে ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯টি প্রতিমা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কে এবং কখন এগুলো তৈরি করেছে তা জানা যায়নি। কিন্তু বলা হয়ে থাকে যে এগুলি তৈরি হয়েছিল ৮ম বা ৯ম শতাব্দীতে।

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) এবং সরকার উভয়ই এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করার চেষ্টা করছে। ঐতিহাসিক পান্নালাল রায় (Historian Pannalal Roy) বলেন, এই পাথরের ভাস্কর্য অত্যন্ত বিরল। এগুলি কম্বোডিয়ার আঙ্গোর ওয়াটে তৈরি করা মূর্তির মতো। পান্নালাল বহু বছর ধরে এসব মূর্তি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। বাংলায় উনকোটি মানে এক কোটির কম। অর্থাৎ ৯৯,৯৯৯,৯৯৯। এখানে এতগুলোই মূর্তি রয়েছে। খারাপ আবহাওয়া, দূষণের কারণে অনেক প্রতিমা নষ্ট হয়ে গেছে। এখানে অনেক জায়গায় প্রতিমার উপর থেকে ঝর্ণা প্রবাহিত হয়।

এএসআই এই জায়গাটির সুরক্ষার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখানকার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এখানে ক্রমাগত খননের কাজ করে যাচ্ছেন যাতে অন্যান্য মূর্তিও আবিষ্কৃত হয়। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় সরকার এই স্থানটির সংরক্ষণ ও পর্যটন উন্নয়নের জন্য ১২ কোটি টাকা দিয়েছে। লোকেরা এখানে পর্যটন এবং পুজোর জন্য যায়। কিন্তু এএসআই কাউকে মূল মূর্তির কাছাকাছি যেতে দেয় না, যাতে এগুলিকে রক্ষা করা যায়।

ত্রিপুরা সরকার এসব প্রতিমাকে ঘিরে পর্যটন স্থান তৈরি করছে। সরকার বিশ্বাস করে যে এটি উত্তর-পূর্বের প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ভান্ডারগুলির মধ্যে একটি। এখানে দুই ধরনের প্রতিমা আছে। প্রথমটি পাহাড়ে খোদাই করা ভাস্কর্য এবং দ্বিতীয়টি পাথর কেটে তৈরি করা। সবচেয়ে বিখ্যাত হল শিবের মাথা এবং বিশাল গণেশ মূর্তি। শিবের মূর্তিকে বলা হয় উনকোটিশ্বর কাল ভৈরব (Unakotishwara Kaal Bhairava)। এটি প্রায় ৩০ ফুট উঁচু। ভোলেনাথের মাথার উপরের অলংকরণটি ১০ ফুট উঁচু।

Advertisement

ভগবান শিবের মূর্তির কাছে নন্দীর তিনটি মূর্তি পাওয়া গিয়েছে, যা মাটিতে অর্ধেক ঢুকে আছে। কথিত আছে, কাশীর দিকে যাওয়ার সময় ভগবান শিব এখানে এক রাত কাটিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে যাত্রা করছিলেন ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ জন দেবতা। তাঁরা সবাই এখানেই থেকে যান। কথিত আছে যে ভগবান শিব সবাইকে বলেছিলেন যে সূর্যোদয়ের আগে আমাদের সবাইকে উঠে কাশীর উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। কিন্তু ভোলেনাথ ছাড়া আর কেউ উঠতে পারেননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভগবান শিব তাঁদের সবাইকে পাথরে পরিণত হওয়ার অভিশাপ দেন। এরপর থেকে সবাই একই অবস্থায় এখানে পড়ে আছেন।

এপ্রিল মাসে এখানে অশোকাষ্টমী মেলা (Ashokashtami Fair ) হয়, যেখানে হাজার হাজার ভক্ত ও পর্যটক আসেন। পান্নালাল রায় বলেছেন যে বাংলার পাল সাম্রাজ্যের সময় উনকোটি ছিল ভগবান শিবের প্রতি বিশ্বাসী লোকদের প্রধান ধর্মীয় স্থান। তাই এটাও সম্ভব যে সেই সময়ে বৌদ্ধধর্মও সম্ভব ছিল যে সে সময় এখানেও বৌদ্ধ ধর্মের প্রাধান্য ছিল।

Advertisement