ডিম (Egg) একবারই মহাকাশ (Spece) থেকে পড়েছিল, ভাঙেনি। একে বলে আত্মবিশ্বাস। দ্বিতীয়বার পড়ে গিয়ে ভেঙে পড়ল, এটাকে বলা হয় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস। এটা একটা রসিকতা। কিন্তু সত্য এর থেকে ভিন্ন হতে পারে। স্পেস থেকে পড়ে গেলে কি ডিম ভেঙে যাবে? নাকি যা ছিল তাই থাকবে। এটি খুঁজে বের করতে নাসা (NASA)-র একজন প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়র একটি পরীক্ষা করেছিলেন। এখন তাঁর ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। এই ভিডিওটি ২ কোটিরও বেশি বার দেখা হয়েছে।
নাসার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়র মার্ক রবার (NASA engineer Mark Rober) এই পরীক্ষাটি করেছিলেন। তিনি মহাকাশ থেকে মাটিতে পড়ে থাকা গদিতে ডিম ফেলে দিতে চেয়েছিলেন। ডিমটি স্ট্রাটোস্ফিয়ার থেকে নামানোর কথা ছিল। অর্থাৎ মহাকাশের দরজা থেকে। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির এক প্রাক্তন সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মার্ক পরীক্ষাটি শুরু করেছিলেন।
তিনি একটি বেলুনে রকেট রেখেছিলেন। রকেটের ডগায় ডিম রাখা ছিল। ডিমওয়ালা রকেট নিয়ে বেলুনটি মহাকাশের দিকে যেতে থাকে। সেখান থেকে রকেটের সাহায্যে ডিমটি ফেলা হয়। এখন ডিম ভাঙছে কি না... তা নিচে দেওয়া ভিডিও দেখলেই বোঝা যাবে।
রকেটে পাখনা লাগানো হয়েছিল যাতে নির্দেশ দেওয়া যায়। ডিম রকেট বহনকারী বেলুনটি ৩০.৫ কিলোমিটারের বেশি অর্থাৎ এক লাখ ফুট উচ্চতায় গিয়েছিল। এটা পড়া এবং শুনতে সহজ। কিন্তু পরীক্ষাটি কঠিন ছিল। এই পরীক্ষাটি করতে মার্কের তিন বছর লেগেছিল। ব্যর্থও হয়েছেন বহুবার। কখনও কখনও হিলিয়াম কম পড়ত। মাঝে মাঝে জিপিএসে সমস্যা হত। কখনও কখনও ডিম উধাও হয়ে যেত। কিন্তু বিজ্ঞানের জন্য কিছু করার ইচ্ছা তাঁকে অবশেষে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়।
মার্ক রবার প্রতিবার ব্যর্থ হলে বন্ধুকে ফোন করতেন। তাঁর নাম অ্যাডাম স্টেল্টজনার (Adam Steltzner)। অ্যাডাম মঙ্গল গ্রহে কিউরিওসিটির অবতরণ করিয়েছিলেন। তিনি এই ধরণের অবতরণে একজন বিশেষজ্ঞ। অ্যাডামের সাহায্যে মার্ক এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন করেন। তিনি এই পুরো পরীক্ষার একটি ভিডিও তৈরি করেছেন। ২৫ নভেম্বর এটি ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়েছে। সবচেয়ে খুশির বিষয় হল যে মার্ক রবার তাঁর পরীক্ষা দিয়ে সাফল্য অর্জন করতে চান। যার উত্তর তিনি চেয়েছিলেন, সব পেয়েছেন।