scorecardresearch
 

Street Food Of Kolkata: বড় রেস্তরাঁকে ১০ গোল দেয়, কলকাতার সেরা স্ট্রিট ফুডের ঠিকানাগুলি রইল

কলকাতা মানে শুধু ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial), ময়দান, হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge), কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউস (College Street Coffee House), কালীঘাট (Kalighat), দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar Kali Temple), পার্ক স্ট্রিট (Park Street) নয়। কলকাতার (Kolkata) ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে আরেকটি জিনিস। আর সেটা হল কলকাতার রাস্তার খাবার অর্থাৎ কলতাতার স্ট্রিট ফুড (Street Food)।

Advertisement
কলকাতার সেরা স্ট্রিট ফুডের ঠিকানা কলকাতার সেরা স্ট্রিট ফুডের ঠিকানা
হাইলাইটস
  • কলকাতার ফুটপাতই হল নানা রকমারি খাবারের স্বর্গরাজ্য
  • যেগুলি জীবনে অন্তত একবার টেস্ট করা উচিত

কলকাতা মানে শুধু ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial), ময়দান, হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge), কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউস (College Street Coffee House), কালীঘাট (Kalighat), দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar Kali Temple), পার্ক স্ট্রিট (Park Street) নয়। কলকাতার (Kolkata) ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে আরেকটি জিনিস। আর সেটা হল কলকাতার রাস্তার খাবার অর্থাৎ কলতাতার স্ট্রিট ফুড (Street Food)। কলকাতার ফুটপাতই হল নানা রকমারি খাবারের স্বর্গরাজ্য।

সস্তায় এত খাবারের বিকল্প পৃথিবীর আর কোনও দেশে আছে কি না জানা নেই। কলকাতার 'স্ট্রিট ফুড'-এ এত ধরনের ভ্যারাইটি রয়েছে, যে কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন তা ভাবতে ভাবতেই সময় পেরিয়ে যায়। তাই আজকে আমরা কলকাতার কয়েকটি বিখ্যাত স্ট্রিট ফুডের কথা আপনাদের বলব, যেগুলি জীবনে অন্তত একবার টেস্ট করা উচিত। সঙ্গে জানিয়ে দেন সেই স্ট্রিট ফুডটি কোথায় সবচেয়ে ভাল পাওয়া যাবে।

অনাদি কেবিনের মোগলাই পরোটা (Anadi Cabin Mughlai Paratha): কলকাতার অন্যতম সেরা স্ট্রিট ফুড এই মোগলাই পরোটা। ১৯২৫ সালে এই রেস্তরাঁর পথচলা শুরু। অনাদি কেবিন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলরাম জানা। পাতলা রুটির মধ্যে মাংসের পুর দেওয়া পরোটা এবং সঙ্গে কাঁচা পিঁয়াজ, ও সেদ্ধ ডিম্ একবার খেলে বার বার খেতে ইচ্ছা করবে। কলকাতার আরও অনেক জায়গায় এই খাবার পাওয়া গেলেও অনাদি কেবিনের মোগলাইয়ের স্বাদ যেন জগৎ বিখ্যাত। হাঁস বা দেশি মুরগির ডিম ব্যবহার করা হয় পরোটা তৈরিতে।

গোলবাড়ির কষা মাংস (Golbari'r Kosha Mangsho): ৯৫ বছর ধরে স্বাদ ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের গোলবাড়ি। এখানকার কষা মাংস জগৎ বিখ্যাত। এই দোকানের মাংসের স্বাদে মজে আছে আট থেকে আশি সকলেই। তাই হাতে খানিকটা সময় নিয়ে চলে যেতে পারেন এই দোকানে। 

Advertisement

আগরওয়ালের পাও ভাজি (Pav Bhaji from Agarwal’s Pav Bhaji): পার্ক স্ট্রিটের বরদান মার্কেটের বাইরে পাওয়া সবচেয়ে বিখ্যাত রাস্তার খাবারগুলির মধ্যে এটি একটি। আগরওয়ালের পাও ভাজি হল ঘি, মশলা এবং সেদ্ধ সবজির একটি সমৃদ্ধ মেডলি, যা মাখন লাগানো রুটির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। কাজুবাদাম ছড়ানো পাউ ভাজি খেলে জীবনেও ভুলতে পারবেন না।

রাজ কিশোর শাহের ঝাল মুড়ি এবং পাপড়ি চাট (Jhal Muri and Papdi Chaat from Raj Kishore Shah): রাজ কিশোর শাহ, যিনি সাধারণত পার্ক স্ট্রিটে বারবেকিউ নেশনের ঠিক বাইরে বসে থাকেন। দু দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ঝাল মুড়ি ও পাপড়ি চাট বিক্রি করছেন কলকাতায়। তার পাপড়ি চাটে চাটপাটা স্বাদ পাওয়া যায়। পারলে অবশ্যই খেয়ে দেখুন।

লালু-ভুলুর চায়ের দোকানের মাংসের চর্বির ঘুঘনি (Mangsher Chorbir Ghugni from Lalu-Bhulu’s Tea Shop): কুমোরটুলি ঘাটের কাছে কলকাতা পুলিশের সুতানুটি ফাঁড়ির বিপরীতে রয়েছে এই চায়ের স্টলটি। মাটির ভাঁড়ে দার্জিলিং চা-সহ আরও নানা খাবার পাওয়া যায় এই দোকানে। তবে সবচেয়ে যেটা এখানে বিখ্যাত, সেটা হল খাসির চর্বির ঘুঘনি। একমাত্র রবিবার সকালেই এটা পাওয়া যায়। রবিবারে সকালে একদিন চলে যেতে পারেন এই চায়ের দোকানটিতে। সঙ্গে কয়েক পিস হাঁসের হাফ বয়েল ডিমও পেটে পুরে দিতে পারেন।

পরমেশ্বর কুলফিওয়ালার কুলফি (Kulfi from Parameshwar Kulfiwala): পার্ক স্ট্রিটে বরদান মার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়ে পরমেশ্বর কুলফিওয়ালার দেখা পাবেন। আর ওনার কুলফি না খেলে আপনার কেনাকাটা সার্থক হবে না। ঐতিহ্যবাহী কেশর বাদাম এবং সীতাফল থেকে শুরু করে নানা রকমের কুলফি পাবেন পরমেশ্বরের কাছে।

অরুণ টি স্টলের সিঙাড়া এবং জিলিপি (Singara and Jalebi from Arun Tea Stall): থিয়েটার রোডের এই দোকানের কেশর চা ও সিঙাড়া অফিসের কর্মীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এখানকার হিংয়ের কচুরিও মুখে লেগে থাকবে। অরুণ টি স্টলের সিঙাড়ার একটা আলাদা স্বাদ রয়েছে, যা শহরের অন্য দোকানগুলির থেকে একে আলাদা খ্যাতি এনে দিয়েছে।

হট কাটি রোল থেকে রোল (Rolls from Hot Kati Roll): থিয়েটার রোডে হট কাটি রোলের দোকান তরুণ প্রজন্মের সেরা গন্তব্য। নরম পরোটার মধ্যে তুলতুলে মাংসের পুর দেওয়া রোল আপনার ময় জয় করবেই। এখানকার কাঠি রোলের বৈশ্যিষ্ট হচ্ছে এটি অন্য দোকানের চেয়ে মোটা এবং মশলাদার। খেতে পারেন ডাবল চিকেন এবং ডাবল মাটন রোল।

জিৎ লাল চ্যাট সেন্টারের দই বড়া (Dahi Vada from Jeet Lal’s Chat Center): সারা ভারত বর্ষেই পাওয়া যায় দই বড়া। তবে, কলকাতায় জিৎ লালের দই বড়ার স্বাদের সঙ্গে তার কোনও তুলনা চলে না। দই আর মশলার ছিটে দেওয়া বড়া যেন অমৃতের সমান। সঙ্গে মেলে মিষ্টি চাটনি, যার উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ঝুরিভাজা। স্টলটি নিউ মার্কেটের সিমপার্ক মলের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত। 

Advertisement

লক্ষ্মণের পান (Paan from Laxman Pan Stall): শরৎ বোস রোডের এই পান দোকানটি চার দশকেরও বেশি পুরনো। নানা রকমের, নানা স্বাদের পান পাবেন এখানে। মিলতে আইস পানও। তবে আমরা বলছি আপনি এখানকার চকলেট পান অবশ্যই মুখে দিয়ে দেখবেন।

Advertisement