
Richa Ghosh Untold Story: কয়েক ঘণ্টা আগেই ছাত্রী রিচা ঘোষ বিশ্বজয় করে ফেলেছে। ক্রিকেট খেলা শুরু করে যে শিখরে পৌঁছতে চায় মানুষ, সেই শীর্ষে আরোহণ করে ফেলেছেন সদ্য যুবতী ছটফটে তরুণী। ছোটবেলার প্রথম কোচের আবেগ খানিকটা বেশিই।

ক্রীড়া পরিষদ থেকে শহরের ক্রীড়াপ্রেমী মহল থেকে আনাচে কানাচে যেখানে উৎসবে মাতোয়ারা, সেখানে তিনি খানিকটা ছিলেন সকলের নজরের আড়ালেই।

তার মাঝেই স্মৃতিচারণায় মাতলেন। জানালেন, ৪ বছর বয়সে প্রথম এসেছিল। তখন খুব কম মেয়ে ক্রিকেট খেলত শিলিগুড়িতে।

বাঘাযতীন ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পে যখন রিচা প্রথম আসে তখন ক্যাম্পের একমাত্র মহিলা ক্রিকেটার ছিল রিচা। গোপালবাবু জানান, ছেলেদের সঙ্গেই প্র্যাকটিস করত তখন।

আসলে বাবা মানবেন্দ্রবাবু ক্লাবের ক্রিকেটার হওয়ায় রিচাকে নিয়ে নেওয়া হয়। এরপর অবশ্য জেলা দলে সরাসরি সুযোগ মেলে। তখন ১১ জন জোগাড় করাই মুশকিল ছিল।

এরপর দ্রুত বড় হিট করতে দেখে এবং নিয়মিত রান করতে দেখে তাকে বেঙ্গল ট্রায়ালে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই তার খেলা ঘুরতে থাকে।

তবে অভিজ্ঞ কোচের চোখ এড়ায়নি, রিচা সব বলেই শট খেলত। তিনি জানান, "ওকে বলি সব বলে মারতে যাস না।" যেটা এবারের বিশ্বকাপে রিচা অনেক সংযত। তার ফলও পেয়েছে।

কোচ বলেন, বেঙ্গল ট্রায়াল থেকেই বদলে গিয়েছিল রিচা। আগের রিচা আর এখনকার রিচার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। ও এখন তারকা। ও এখন কখন কী করতে হবে তা জানে।

গোপালবাবু জানালেন, বাবার মতোই ও শুরু করেছিল পেস বোলার হিসেবে। একটা ম্যাচে উইকেটকিপার না আসায়, ওকে গ্লাভস হাতে দাঁড়াতে বলি। বিনা কিপিং প্র্যাকটিসে রিচা গ্লাভসে দারুণ বল ধরছিল। এরপর থেকে স্থানীয় খেলাগুলোতে দুটোই প্রয়োজন মতো করানো হতো।

এরপর বাংলা দলে সুযোগ পাওয়ার পরও তিনি বল করেছেন কিছু ম্যাচে। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে কিপিংয়ে মনোযোগ দেন জাতীয় দলের পরামর্শে। পাশাপাশি পাওয়ার হিটার হিসেবে ব্যাটে শান দিয়ে আজকের রিচা ঘোষ।