এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে এখনও জারি ভারত-পাকিস্তান সংঘাত। সম্প্রতি ট্রফি চেয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে চিঠি লেখে বিসিসিআই। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা বোর্ড ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করে। তবে এসিসি প্রেডিডেন্ট মহসিন নকভি ভারতের কোনও একজন প্রতিনিধিকে দুবাইয়ের এসিসি দফতর থেকে ট্রফি সংগ্রহ করতে বলেছেন। যদিও বিসিসিআইও অবস্থানে অনড়। নকভির প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে তারা।
এর আগে বিসিসিআই-এর প্রতিনিধি রাজীব শুক্লা, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের এবং আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা নকভিকে ভারতের কাছে ট্রফি হস্তান্তরের বিষয়ে চিঠি লেখেন। চিঠির জবাব নকভি লেখেন, 'আপনাদের চিঠি আমি পেয়েছি। এসিসিসির বার্ষিক সভার আগেই চিঠিটি গৃহীত হয়েছে। এজিএমে বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন রাজীব শুক্লা এবং আশিস শেলার। গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল।'
নকভি আরও বলেন, 'এশিয়া কাপে জেতার জন্য আমি ভারতীয় দলকে ফের অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি এসিসিতে বিসিসিআইএর প্রশংসা করি। তাদের ঐতিহ্য, খেলার প্রতি আনুগত্য ইত্যাদি বিষয়গুলো শেখার আছে। তা আনন্দের সঙ্গে স্বীকারও করি। আমি আন্তরিকভাবে চাই, এই অনুভূতিগুলো কেবলমাত্র চিঠির মধ্যে সীমাবন্ধ না থেকে যেন খেলার মাঠেও প্রতিফলিত হয়।'
নকভির আরও দাবি, তাঁর হাত থেকে যে পুরস্কার ভারতীয় দল নিতে চায় না সেটাও শেষ মুহূর্তে জানানো হয়েছিল। তাঁর কথায়, 'পুরস্কার বিতরণ নিয়ে আগে থেকে বিসিসিআইএর তরফে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি এসিসির সঙ্গে। অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছিল। মঞ্চে অতিথিরা ছিলেন। তখনই বিসিসিআই প্রতিনিধি আমাকে জানান, ভারতীয় ক্রিকেট দল আমার কাছ থেকে এশিয়া কাপের ট্রফি বা পুরস্কার নেবেন না। এই অচলাবস্থা নিরসণের চেষ্টা হয়েছিল। তবে তা সফল হয়নি।'
গোটা ঘটনার জন্য বিসিসিআইকে পরোক্ষে দায়ি করে নকভি জানান, সেদিন তিনিও পুরস্কার মঞ্চে বসেছিলেন অনেকক্ষণ। এসিসি ট্রফি দেবে ভারতীয় দলকে। সেক্ষেত্রে বিসিসিআইকে কোনও প্রতিনিধি পাঠাতে হবে দুবাইয়ের সদর দফতরে। তার আগে পর্যন্ত সেখানেই রাখা থাকবে ট্রফি।
তবে বিসিসিআইও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কোনও প্রতিনিধি নকভির থেকে ট্রফি নেবে না। সুতরাং, এখন সেই ট্রফির কী ভবিষ্যৎ তা ঠিক করবে আইসিসির পরবর্তী সভা।