কাবুল প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩-এর ১০ নম্বর ম্যাচে শাহীন হান্টার্স এর মুখোমুখি হয়েছিল আবাসিত ডিফেন্ডারস। ২৯ জুলাই শনিবার কাবুলের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা এই ম্যাচে শাহীন হান্টার্স ক্যাপ্টেন সেদিকুল্লাহ অটল তাক লাকিয়ে দেন। অটল শাহিন হান্টার্সদের ইনিংসের ১৯ নম্বর ওভারে আমির জাজাই এর বলে মোট ৭ টি ছয় মারেন। আমিরের ওই ১৯ তম ওভারে মোট ৪৮ রান, ২১ বছরের অটল ৫৬ বলে ১১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। যার মধ্যে ৭ টি চার এবং ১০ টি ছয় রয়েছে।
ঋতুরাজ গায়কোয়ারের সঙ্গে এক আসনে
১৯ তম ওভারে আমির জাজাই প্রথম বলে অটল জোরদার ছয় মারেন। এর সঙ্গেই নো বল হয়ে যায়। এরপরে আমি পরের বলটি ওয়াইড বল করেন এবং সেটি চার হয়ে যায়। অর্থাৎ ওভারে কোনও বল হওয়ার আগেই ১২ রান খরচ হয়ে যায়। এরপরে আমির যে পরবর্তী ৬টি বৈধ ডেলিভারি করেন, তাতে অটল লাগাতার ছটি ছয় মারেন। সেদিকুল্লা অটলের এই ব্যাটিংয়ে ভারতীয় ক্রিকেটার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে মনে করিয়ে দেয়। গত বছর বিজয় হাজারে ট্রফিতে এক ওভারে সাতটি ছয় মেরেছিলেন তিনি।
১৯ তম ওভারের আগে শাহীন হান্টার্স এর কোড ৬ উইকেটে ১৯৮ রান ছিল এবং তখন সিদ্দিকুল্লা অটল ৪৩ বলে ৭১ রানে ব্যাট করছিলেন। ১৯ নম্বর ওভারে ম্যাচের নকশা তিনি বদলে দেন এবং আটচল্লিশ রান হওয়ার পরে টিমের স্কোর ২০০ পার হয়ে যায়। এই অবিস্মরণীয় ঘটনার সময় অটল মাত্র ৪৮ টি বল খেলেন। আমির জাজাইয়ের প্রথম তিন ওভার ৩১ রান খরচ হয়েছিল। কিন্তু এই শেষ ওভারটি করতে আসা তার কাছে গুরুতর বলে প্রমাণিত হয়।
কে এই সেদিকুল্লা অটল?
২১ বছরের সেদিকুল্লাহ অটল আফগানিস্তানের হয়ে একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। যা এ বছর মার্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছিল। নিজের ডেবিউ ম্যাচে অটল শুধুমাত্র ১১ রান করতে পারেন। বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান অটল এখনোও পর্যন্ত ১০ টি ফার্স্ট ক্লাস, ১১ টি লিস্ট-এ এবং ১৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।