এশিয়া কাপের সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচেও টাই। শ্রীলঙ্কার দুরন্ত লড়াইয়ে ম্যাচ টাই হয়ে যায়। পথুম নিশাঙ্কার সেঞ্চুরি করে শেষ ম্যাচে দলের মুখ রক্ষা করলেন। শেষ ওভারে ১০৭ রান করে আউট হন। তবে সুপার ওভারে বাজিমাত করেন আর্শদীপ সিং। প্রথম ৫ বলেই ২ উইকেট তুলে নেন মাত্র ২ রান দিয়ে। প্রথম বলেই ৩ রান নিয়ে মুয়াচ জিতে নেন সূর্যকুমার যাদব।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের জন্য ২০৩ রানের টার্গেট দেয় ভারত। চলতি এশিয়া কাপে এটি প্রথমবারের মতো কোনও দল ২০০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, শ্রীলঙ্কা ৮ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান করেছে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা খারাপ হয়, কুশল মেন্ডিসকে সস্তায় হারিয়ে। সেখান থেকে পাখুম নিসঙ্কা এবং কুশল পেরেরা ক্রিজে ফিরে আসেন। তারা একসাথে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৭ রানের জুটি গড়েন। কুশল পেরেরা ৩২ বলে ৫৮ রান করেন, যার মধ্যে আটটি চার এবং একটি ছক্কা ছিল। বরুণ চক্রবর্তী কুশল পেরেরাকে আউট করে এই জুটি ভেঙে দেন। এরপর ভারত চারিথ আসালঙ্কা এবং কামিন্দু মেন্ডিসের উইকেট নেয়। তবে নিসঙ্কার সেঞ্চুরি ম্যাচটিকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।
নিসানকা ৫৮ বলে ৭টি চার এবং ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১০৭ রান করেন। শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য ১২ রানের প্রয়োজন ছিল। সেইওভারের প্রথম বলেই নিসানকা আউট হন। পরের বলে জানিথ লিয়ানাগে ২ রান নেন, আর তৃতীয় বলে বাই হিসেবে রান নেন। দাসুন শানাকা চতুর্থ বলে ২ রান নেন এবং পঞ্চম বলে একটি চার মারেন। শেষ বলে শ্রীলঙ্কার ২ রানের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু শানাকা মাত্র দুটিরান করতে পারেন এবং ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ে যায়।
ভারতীয় দলের শুরুটা খুব একটা খারাপ ছিল না, শুভমন গিলকে সস্তায় হারাতে হয়েছিল। তবে শুভমনের আউটে অভিষেক শর্মার কোনও প্রভাব পড়েনি। অভিষেক ২২ বলে তার পঞ্চাশ রান করেন, সাতটি চার এবং দুটি ছক্কা মারেন। এটি চলমান এশিয়া কাপে শর্মার টানা তৃতীয় পঞ্চাশের বেশি রান। অভিষেক ৩১ বলে ৬১ রান করেন, যার মধ্যে আটটি চার এবং দুটি ছক্কা ছিল। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব হতাশ হন, মাত্র ১২ রান করেন। অভিষেক এবং সূর্যকুমার যাদব দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়েন।