scorecardresearch
 

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের ম্যাচেই হারল অস্ট্রেলিয়া, সূর্য-ইশানের ব্যাটে জিতল ভারত

অস্ট্রেলিয়া দলের চ্যাম্পিয়ন টিমের বেশ কিছু খেলোয়াড় অনুপস্থিত ছিল, ভারতীয় দলেও তেমনই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা, মহাম্মদ সামি, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, কেএল রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার সহ প্রথম সারির প্রায় সমস্ত খেলোয়াড়কেই। ছিলেন বলতে সূর্য কুমার যাদব এবং গোটা বিশ্বকাপের বেশিরভাগই সাইড বেঞ্চে বসে থাকা ইশান কিসান। এই দুজনের হাতেই খুন হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা।

Advertisement
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের ম্যাচেই বড় হার অস্ট্রেলিয়ার, টি২০ সিরিজে এগোল টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের ম্যাচেই বড় হার অস্ট্রেলিয়ার, টি২০ সিরিজে এগোল টিম ইন্ডিয়া

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল অস্ট্রেলিয়া। আর টানা দশ ম্যাচ জয় করে বিশ্বকাপ ফাইনালে হার যে নেহাতই ফ্লুক ছিল, ল অব অ্যাভারেজ তা প্রমাণ করলো টিম ইন্ডিয়া। ভারত, দ্বিতীয় সারির টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বিশাখাপত্তনমের মাঠে রীতিমতো পর্যুদস্ত করে হারাল ভারতীয় ব্যাটাররা।

যদিও অস্ট্রেলিয়া দলের চ্যাম্পিয়ন টিমের বেশ কিছু খেলোয়াড় অনুপস্থিত ছিল, ভারতীয় দলেও তেমনই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা, মহাম্মদ সামি, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, কেএল রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার সহ প্রথম সারির প্রায় সমস্ত খেলোয়াড়কেই। ছিলেন বলতে সূর্য কুমার যাদব এবং গোটা বিশ্বকাপের বেশিরভাগই সাইড বেঞ্চে বসে থাকা ইশান কিসান। এই দুজনের হাতেই খুন হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা।

সূর্য-কিসানের জোড়া দাপট

সূর্যকুমার যাদবের ঠান্ডা মাথার বিধ্বংসী ইনিংস এবং যোগ্য সঙ্গত ঈশান কিসানের। দুজনের অর্ধশত রানে ভর করে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। শেষ ওভারে অবশ্য অতি নাটকীয় সমাপ্তি ঘটলো ম্যাচের শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৬ বলে ৭ রান। প্রথম বলে ৪ মেরে জয় প্রায় হাতের মুঠোয় এনে দিলেন রিঙ্কু সিং। এরপরেই শুরু হল অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স। পর পর তিন বলে ৩ টি রান আউট হয়ে গেল ভারতের ব্যাটাররা। অযথা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দিলেন অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। যা ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দি করতে ভুল করেননি অজি ফিল্ডার।

রিঙ্কুর দুর্দান্ত ফিনিশ

যদিও রিঙ্কুকে স্ট্রাইকের বাইরে রাখতে না পারার খেসারত দিতে হলো তাদের। শেষ বলে ছক্কা মেরে জয় সুনিশ্চিত করে ফেললেন রিঙ্কু। যদিও বলটি ছিল নো বল। ফলে এক রান জিততে লাগায় ৬ টি কোনও কাজে লাগলো না। তবে এতে রিংকুর কৃতিত্ব বিন্দুমাত্র খাটো হচ্ছে না। কেকেআর-এর এই নির্ভরযোগ্য বিস্ফোরক ব্যাটারটি ভারতীয় দলের সম্পদ হতে চলেছেন আগামী দিনে, তার ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন তিনি। রোহিত-জাদেজা-কোহলিদের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনি লম্বা সময় পর্যন্ত বিশ্বমঞ্চ কাঁপাবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন।

Advertisement

এদিন প্রথমে টস জিতে ভারত বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। সূর্য কুমার যাদব নিজের অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচে পাশ করে গেলেন ব্যাটারদের বিক্রমের দৌলতে। যদিও বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তা কিছুটা থেকেই গেল। অস্ট্রেলিয়া দলের বিশ্বকাপ খেলে আসা উইকেটকিপার ব্যাটার জোস ইংলিশ সেঞ্চুরি করে এদিন বড় রানের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিলেন ক্যাঙ্গারুবাহিনীর জন্য। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে অস্ট্রেলিয়া ভারতের সামনে ২০৯ রানের বড় লক্ষ মাত্রা রাখে।

ঈশান কিসান ও সূর্য কুমার যাদব ৬০ বলে ১১২ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচ অজিদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন। ভারতীয় ইনিংসের শুরুতে অবশ্য ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান ঋতুরাজ গায়কোয়ার। কোনও বল খেলার আগেই তাঁকে ফিরতে হয় সাজঘরে। বিস্ফোরক শুরু করেও বড় রানে পরিণত করতে না পারার আক্ষেপ থাকবে যশস্বী জয়সওয়ালের। তিনি মাত্র ৮ বল খেলে ২১ রান করে ফিরে যান।

এই সিরিজ ভারতীয় দলের প্রথম সারির প্রায় সমস্ত খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপে ফ্লপ থাকা সূর্য কুমার যাদব এবং প্রথম দুটি ম্যাচের পর রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকা ঈশান কিসান দলে রয়েছেন। এছাড়া বিশ্বকাপ স্কোয়াডের আর একজনও নেই। বাকি পুরো দলই যারা এশিয়ান গেমসে সোনা নিয়ে এসেছে, সেই দলটিকে খেলানো হয়েছে। এশিয়ান গেমসে দুর্বল দলগুলি থাকায় অনেকেই ভারতীয় স্বর্ণপদক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, এদিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জবাব দিয়ে দিলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে একাধিক খেলোয়াড়কে নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন।

এদিন নজর ছিল বেশ কিছু বোলারের উপরে। যদিও একমাত্র মুকেশ কুমার এবং রবি বিষ্ণোই খানিকটা ভালো বল করলেও বাকিরা যথেচ্ছ মার খেয়েছেন। যদিও ছোট মাঠ এবং একেবারে ফ্ল্যাট পিচ বোলারদের বধ্যভূমি ছিল। তা সত্ত্বেও বুদ্ধি করে বল করে এই রান বন্যার মাঝেও চার ওভারে মাত্র ২৯ রান দিলেন বাংলার জোরে বোলার মুকেশ। প্রসিদ্ধ কৃ্ষ্ণা, অর্শদীপ সিং এলোমেলো বল করেছেন। অক্ষর প্যাটেলও চোট সারিয়ে ফিরে দাগ কাটকে পারেননি। এই ম্যাচে জয়ের ফলে ভারতীয় দল পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল।

 

Advertisement