scorecardresearch
 

Bangladesh Cricketers In IPL : নিলামে তোলা হল না বাংলাদেশের ১০ জনকে-আনসোল্ড ২, IPL থেকে বাদ মহম্মদ ইউনুসের দেশ?

সব দেশের ক্রিকেটারদের ইচ্ছে থাকে আইপিএল-এ অংশ নেওয়ার। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো দেশ তো বটেই অনেক ছোটো দেশের খেলোয়াড়দেরও স্বপ্ন থাকে আইপিএল-এর মতো মেগা টুর্নামেন্টে নিজেকে প্রমাণ করার।

Advertisement
bangladesh cricket team bangladesh cricket team
হাইলাইটস
  • এবারের অকশনে ১২ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম ছিল
  • এদের মধ্যে ২ জনের নাম উঠলে তারা আনসোল্ড

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৫ এর নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হওয়া নিলাম একাধিক রেকর্ড গড়েছে। সাক্ষী থেকেছে অনেক ঘটনার। দুই দিন ধরে চলা মেগা নিলামে ১০টি দল ৬৩৯.১৫ কোটি টাকা খরচ করে মোট ১৮২ জন ক্রিকেটারকে কিনেছে।

আইপিএল-এর নিলামের ইতিহাসে এবার রেকর্ড গড়েছেন ঋষভ পন্ত ও শ্রেয়াস আইয়ার। লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG) ভারতীয় দলের উইকেট কিপারকে ২৭ কোটি টাকায় কিনেছে। এখনও পর্যন্ত যত আইপিএল হয়েছে ঋষভ সেই সব টুর্নামেন্টের মধ্যে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়। এরপরই রয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার। তাঁকে ২৬.৭৫ কোটি টাকায় কেনে পঞ্জাব কিংস। 

সব দেশের ক্রিকেটারদের ইচ্ছে থাকে আইপিএল-এ অংশ নেওয়ার। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো দেশ তো বটেই, ছোটো দেশের খেলোয়াড়দেরও স্বপ্ন থাকে আইপিএল-এর মতো মেগা টুর্নামেন্টে নিজেকে প্রমাণ করার। কারও সেই স্বপ্ন সফল হয়। তাদের টুর্নামেন্টে ভালো খেলে নিজেদের প্রমাণ করতে হয়। কোনও কোনও ক্রিকেটারের স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। কিন্তু এবার আইপিএল-এ এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে একটি দেশের ১২ জন খেলোয়াড় নিলামের তালিকায় থাকলেও ২ জন ছাড়া অন্য কারও নামই ওঠেনি। সেই দেশটি হল বাংলাদেশ। 

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন উদ্বেগজনক। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে সেখানে অচলাবস্থা চলছে। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। তারপর থেকে পথে নেমেছে সংখ্যালঘুরা। তবে সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতির মাঝেই বসে আইপিএল নিলামের আসর। আবার বাংলাদেশে সম্প্রতি এক সন্ন্যাসীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যার জেরে তোলপাড় চলছে।

আইপিএল-এ বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের না নেওয়াকে অনেকে বলছেন ভারতের নিঃশব্দে 'পাশ' কাটিয়ে যাওয়া। কারণ, আইপিএ নিলামে ১২ বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হলেও দরপত্রে নামই ওঠেনি ১০ জনের। তাঁরা হলেন, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসানের মতো তারকা। মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেনের নাম দরপত্রে উঠে আসলেও তাঁদের কেউ কেনেনি। আনসোল্ড থেকে যান। 

Advertisement

দেখে শুনে অনেকেই বলছেন, পাকিস্তানের পর এখন বাংলাদেশও আইপিএল থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আইপিএল-এ হয়তো আর দেখা যাবে না সেই দেশের ক্রিকেটারদের। 

বাংলাদেশের কোন খেলোয়াড়ের কত বেস প্রাইস ছিল? 

মুস্তাফিজুর রহমানের বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি। রিশাদ হুসেনের-৭৫ লাখ। তাসকিন আহমেদ। সাকিব আল হাসান-১ কোটি, তাস্কিন আহমেদ-১ কোটি, মেহেদি হাসান মিরাজ- ১কোটি, শরিফুল ইসলাম- ৭৫ লাখ, তানজিম হাসান সাকিব- ৭৫ লাখ, 
মেহেন্দি হাসান- ৭৫ লাখ, নাহিদ রানা- ৭৫ লাখ, লিটন দাস-৭৫ লাখ, তৌহিদ হৃদয় - ৭৫ লাখ ও হাসান মাহমুদের- ৭৫ লাখ। 

পাকিস্তানের খেলোয়াড়দেরও একই হাল হয়েছিল আইপিএল-এ। আইপিএলের প্রথম সিজন হয় ২০০৮ সালে। সেই সময় পাকিস্তানের মোট ১১ জন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিলেন। তবে তারপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে খারাপ হয়। যার প্রভাব পড়ে ক্রিকেটেও। রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আইপিএলে সুযোগ দেওয়া হয়নি। 

আইপিএলের প্রথম মরসুমে যে ১১ জন পাকিস্তানি খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছিলেন তাঁরা হলেন, সালমান বাট, শোয়েব আখতার, মোহাম্মদ হাফিজ, উমর গুল, কামরান আকমল, ইউনিস খান, সোহেল তানভির, মহম্মদ আসিফ, শোয়েব মালিক, শাহিদ আফ্রিদি এবং মিসবা উল হক।

 

Advertisement