দুই হাতেই করেন বলদক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে শোচনীয়ভাবে হেরেছে ভারত। তারপর থেকেই দ্বিতীয় টেস্টের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে গিল ব্রিগেড। তাঁরা অনুশীলনে বেশি জোর দিয়েছেন। বিশেষত, স্পিনারদের সামলানোর কাজে নিজেদের টেকনিক শুধরাতে চাইছেন তাঁরা। আর সেই কারণে ইন্ডিয়ার ব্যাটাররা কৌশিক মাইতি নামক এক বিশেষ স্পিনারের বল খেলছেন। ঘটনাচক্রে এই স্পিন বোলারটি বাংলার।
কৌশিক হল সেই বোলার, যিনি সইদ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এমনকী রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএল ট্রায়ালেও ছিলেন। আর ২৬ বছর বয়সী এই বোলার দুই হাতে বল করতে পারেন। তিনি বাঁ-হাতি ব্যাটারদের জন্য অফ ব্রেক এবং ডানহাতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে বাঁ-হাতে স্পিন করতে পারেন। আর তাঁর এই অসাধারণ প্রতিভা নিয়েই বর্তমানে চর্চা চলছে।
অনুশীলন শেষে মাইতি কী বললেন?
ভারতীয় দলের অনুশীলনে জায়গা পেয়ে দারুণ খুশি মাইতি। তিনি বলেন, 'আমি প্রথমবারের জন্য ভারতীয় নেটে বল করার সুযোগ পেয়েছি। যদিও এর আগে আইপিএল অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ইডেনের নেটে বল করেছি। আজ আমি অফ ব্রেক করি সাঁই সুদর্শন, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবীন্দ্র জাদেজা এবং দেবদত্ত পাদিক্কলকে। আর লেফট আর্ম স্পিন করি ধ্রুব জুরেলকে।'
কোচের তরফে কোনও বার্তা আসেনি
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কালীঘাটের হয়ে খেলেন মাইতি। আর সেই তিনিই এখন ভারতীয় নেটে বল করছেন। যদিও বল করার জন্য গৌতম গম্ভীর বা মর্নি মর্কেল তাঁকে আলাদা কোনও ইনস্ট্রাকশন দেয়নি। বরং এই সময় তিনি নিজে যা মনে করেছেন, তেমনই বল করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর কথায়, 'আমি যেমনটা প্ল্যান করেছি তেমনই বল করেছি। কোনও প্লেয়ার বা কোচ আমায় বলেনি যে কীভাবে বল করতে হবে। এই ধরনের ওয়ার্ল্ড ক্লাস প্লেয়ারদের বিরুদ্ধে বল করা একটা বিরাট অভিজ্ঞতা।'
জাদেজা কী বলেন?
'বল করার পর জাদেজা ভাই বলেন ৪ থেকে ৫ মিটার হল আমার ন্যাচারাল লেন্থ। তিনি পরামর্শ দেন যেন আমি লেন্থ ১ মিনিট পিছিয়ে নিই। আর একটু জোরে বল করি। তাতে ব্যাটসম্যানের কাছে রিয়্যাক্ট করার সময় থাকবে কম।', বলেন মাইতি।
পিচ জুজু ছিল না
ভারত প্রথম ম্যাচ হারার পরই অনেকেই পিচের দিকে আঙুল তুলেছেন। এমনকী গম্ভীরের সিদ্ধান্ত নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। যদিও এই সব বিষয়কে পাত্তাই দেননি গৌতম গম্ভীর। তিনি জানিয়ে দেন, এই পিচে কোনও জুজু ছিল না। ব্যাটাররা খারাপ খেলাতেই টেস্ট হারতে হয়েছে।
আর তাঁর সেই কথার সমর্থন করেছেন গাভাস্কার। তিনিও মনে করেন, এই পিচে তেমন কিছু ছিল না। বরং ব্যাটারদের টেম্পারমেন্ট এবং টেকনিক না থাকাতেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।