Sunil Gavaskar On Concussion Controversy: সূর্যকুমার যাদবের (Surya Kumar Yadav) নেতৃত্বে ভারতীয় দল ওয়াংখেড়ে টি-টোয়েন্টিতে (India Vs England) ইংল্যান্ডকে ১৫০ রানে পরাজিত করে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ দখল করে। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেখা গিয়েছিল বড় বিতর্ক। পুনেতে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এই বিবাদ ঘটে। সেই ম্যাচে কনকশন বিকল্প হিসেবে মাঠে নামেন হর্ষিত রানা। ব্যাটিং অলরাউন্ডার শিবম দুবের (Shibam Dube) জায়গায় মাঠে নেমে হর্ষিত রানা (Harshit Rana)দুর্দান্ত বোলিং করে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের চেহারাই বদলে দেন।
কনকশন কেসে গাভাস্কারের এন্ট্রি, বড় বিবৃতি দিলেন
ভারতীয় ইনিংসের ২০তম ওভারে জেমি ওভারটনের পঞ্চম বলটি শিবম দুবের হেলমেটে আঘাত করেছিল। শিবম আবারও ইনিংসের শেষ বলে আউট হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামেননি। এর পরে, ইংল্যান্ডের ইনিংসের ১০ তম ওভারে হর্ষিত রানাকে দুবের কনকশন বিকল্প হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
তবে এই বিতর্ক এখনও থামেনি। এবার পুরো বিষয়টিতে ঢুকে পড়লেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ও দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার (Sunil Gavaskar)। গাভাস্কার দাবি করেন, শিবম আহত হননি। গাভাস্কার বলেন, শিবমের যদি কনকশন হয়ে থাকে তাহলে তিনি শেষ বলটি কীভাবে খেলতেন। গাভাস্কারও ভারতীয় দলকে তিরস্কার করেন।
সুনীল গাভাস্কার টেলিগ্রাফে তার কলামে লিখেছেন, 'পুনে খেলায় হেলমেটে আঘাত পাওয়ার পরও শেষ অবধি ব্যাটিং করেছেন শিবম দুবে। তাই স্পষ্ট, তিনি আহত হননি। এমন পরিস্থিতিতে কনকশন বিকল্পের অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্যাটিং করার সময় যদি তার পেশিতে টান পড়ে তাহলে তাকে প্রতিস্থাপন করা যেত, কিন্তু সেটা শুধুমাত্র ফিল্ডিংয়ের জন্য এবং তিনি বল করতে পারতেন না।
'ভারত ভালো দল কিন্তু...'
দুবে এবং রানার মধ্যে সেরকম কিছুই ছিল না। আমরা বলতে পারি যে তারা একই উচ্চতার এবং ফিল্ডিংয়ে তাদের স্তরও একই। অন্যথায়, তাদের মধ্যে কিছু মিল নেই। ইংল্যান্ডের পরাজয় মেনে নেওয়ার সব কারণ আছে। ভারত একটি দুর্দান্ত দল, কিন্তু তাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ডে তাদের জয়ে কালি ছিটনো উচিত নয়।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (ICC) নিয়ম অনুযায়ী, খেলা চলাকালীন মাঠে যখন কোনো খেলোয়াড়ের মাথায় বা চোখে আঘাত লাগে, তখন কনকাশন সাবস্টিটিউট বিধি প্রযোজ্য হয়। তবে প্রতিস্থাপনটি লাইকের জন্য লাইক হওয়া উচিত।
হর্ষিত রানা একজন ফাস্ট বোলার, আর শিবম দুবে একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার। এমতাবস্থায় এই সিদ্ধান্ত কিছুটা আশ্চর্যজনক ছিল। যাইহোক, ম্যাচ রেফারির অনুমোদনের পরই একজন খেলোয়াড়কে কনকশন বিকল্প হিসেবে মাঠে নামানো হয় পুনে টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ রেফারি ছিলেন জাভাগাল শ্রীনাথ (Javagal Srinath)।