রোহিত-বিরাট ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন কেন?রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির ব্যাটের উপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ জিতেছে ভারত। দেওয়া গিয়েছে টেস্ট সিরিজে হারের যোগ্য জবাব। এই তিন ম্যাচের সিরিজে ৩০২ রান করেছেন কোহলি। রয়েছে দুই সেঞ্চুরি এবং একটি অর্ধশতরান। গড় ১৫১। ও দিকে আবার রোহিত শর্মা ৩ ম্যাচে করেছেন ১৪৬ রান। তাঁর গড় ৪৮.৬৬। তিনি দু'টি ম্যাচে ৫০-ও করেছেন। আর এমন সু-সময়ের মাঝেই এই দুই কিংবদন্তি ব্যাটারকে জোর করে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বলে উঠছে অভিযোগ।
আসলে ২০২৫-২০২৬ সালে বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলতে চলেছেন রোহিত এবং কোহলি। আর তাঁরা নাকি নিজের ইচ্ছেতে নয়, বিসিসিআই জোর করে খেলাচ্ছে বলে দাবি করছেন অনেকে।
বিসিসিআই কী জোর করেছে?
এই বিষয়টি নিয়ে একটা রিপোর্ট বেরিয়েছে রেভস্পোর্টসে। সেখানে বলা হয়েছে, বিসিসিআই কোনওভাবেই রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার জন্য চাপ দেয়নি। বোর্ডের তরফ থেকে এক আধিকারিক বিষয়টা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'তাঁরা নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।'
প্রসঙ্গত, এটা মাথায় রাখতে হবে যে এই বছরের গোড়াতেই বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাক করেছিলেন। তাঁরা খেলেছিলেন রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ। যদিও চলতি বছরের মে মাসের ইংল্যান্ড সফরের আগেই তাঁরা দুইজনই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন।
যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ওডিআই সিরিজ চলার সময় এই দুই ক্রিকেটারের বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। প্রথমে জানা যায়, রোহিত এই ট্রফি খেলছেন। তবে বিরাট খেলতে রাজি ছিলেন না। তখন নাকি বোর্ড বিরাটকে বোঝাতে শুরু করে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সবাই খেললে কোনও এক প্লেয়ারের জন্য আলাদা নিয়ম থাকতে পারে না। আর সেই চাপে পড়েই নাকি বিরাট অবশেষে দিল্লির ক্রিকেট বোর্ডকে বিজয় হাজারে খেলবেন বলে জানিয়েছেন।
যদিও বর্তমানে এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বোর্ড। তাদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, রোহিত বা বিরাটকে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। তাঁরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই টুর্নামেন্ট খেলার।
২০২৭-এ খেলবেন?
রোহিত এবং বিরাট খেলবেন কি না সেই নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়েছে। কোচ গৌতম গম্ভীর অবশ্য এই বিষয়টা নিয়ে সরাসরি কিছু বলেনি। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'এই দুইজনই বিশ্বমানের খেলোয়াড়। তাঁরা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি তাঁরা এভাবেই খেলে যাবে।'