East Bengal vs Bhawanipur: ইস্টেবেঙ্গল-ভবানীপুর ম্যাচে দুই দলের কর্তাদের মারামারি, তপ্ত ইডেন

গণ্ডগোলের আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হতেই, বচসায় জড়িয়ে পড়লেন ইস্টবেঙ্গল এবং ভবানীপুরের ক্রিকেটার কর্মকর্তারা। হাতাহাতিতে কারুর জামা ছিঁড়ল, কেউ আবার আহত হলেন।  ধাক্কাধাক্কিতে দরজার কবজা খুলে গেল। বিশৃঙ্খলা এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, যা দেখে লজ্জায় পড়তে হয় সিএবিকে।

Advertisement
ইস্টেবেঙ্গল-ভবানীপুর ম্যাচে দুই দলের কর্তাদের মারামারি, তপ্ত ইডেনইডেনে মারামারি

গণ্ডগোলের আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হতেই, বচসায় জড়িয়ে পড়লেন ইস্টবেঙ্গল এবং ভবানীপুরের ক্রিকেটার কর্মকর্তারা। হাতাহাতিতে কারুর জামা ছিঁড়ল, কেউ আবার আহত হলেন।  ধাক্কাধাক্কিতে দরজার কবজা খুলে গেল। বিশৃঙ্খলা এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, যা দেখে লজ্জায় পড়তে হয় সিএবিকে।

কী নিয়ে ঝামেলা?
ভবানীপুর শিবিরের দাবি, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হতেই ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাইলে তখনও ম্যাচ খানিকক্ষণ খেলানো যেত। আর ২ উইকেট তুলে নিতে পারলেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত ভবানীপুর। ফলে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ায় ভবানীপুরের ক্ষোভ তৈরি হয়।

অভিযোগ, ম্যাচ বন্ধ হতে ইস্টবেঙ্গলের দুই অপরাজিত ব্যাটার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও কণিষ্ক শেঠ মাঠ ছেড়ে বেরনোর সময় শাকিরের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। দ্রুত সেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দুই দলের কর্মকর্তারা। ড্রেসিংরুমের বাইরে দুই শিবিরের হাতাহাতি হয়েছে বলে অভিযোগ।

ইস্টবেঙ্গল আট উইকেটে ২৪৩ রান তুলেছে।  এখনও ৪০০ রান করতে হবে। বৃষ্টিতে ইডেনে খেলা বন্ধ। মাঠ ঢাকা। কলকাতা ক্রিকেট লিগে ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুর ক্লাবের ম্যাচ প্রথম দিন থেকেই ঘটনাবহুল। দ্বিতীয় দিন শাকিব হাবিব গান্ধীর বিতর্কিত আউট ঘিরে সমস্যা শুরু। আম্পায়ার কৃষ্ণেন্দু পাল আউট দিলে ব্যাটার মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে স্কোয়্যার লেগ আম্পায়ার অভিজিৎ ভট্টাচার্যর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যাটারকে নট আউট ঘোষণা করে ডেকে নেন আম্পায়ার। ক্ষোভে ফেটে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। পাঁচ ঘণ্টা খেলা বন্ধ ছিল। আসরে নামতে হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর মধ্যস্থতায় খেলা শুরু হয়।  

ভবানীপুর ক্লাব শাকিব হাবিব গান্ধীর দ্বিশতরানে ভর দিয়ে ৬৪৩ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইস্টবেঙ্গল সময় নষ্টের কৌশল নেয়। প্রচণ্ড গরমে খেলা। ফলে বারবার অসুস্থ হওয়ার ভান করতে থাকেন বলে অভিযোগ। ডাক্তারকে বারবার ঢুকতে হয়। ফলে একটা সময় দেখা যায় এক ঘণ্টায় মাত্র চার ওভার বোলিং সম্পূর্ন হয়নি। ছশো প্লাস রানের চাপ। শেষ দিনে ১৪৭ রানে চার উইকেট নিয়ে খেলা শুরু করে। 

Advertisement

বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়া পর্যন্ত ২৪৩ রান তোলে আট উইকেটের বিনিময়ে। তবে শেষ দিনের আলোচনার কেন্দ্রে ক্রিকেটার কর্তাদের হাতাহাতি বচসা। যা সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা ময়দানী ক্রিকেটে দেখা যায়নি। থামাতে গিয়ে হিমশিম খেলেন সিএবি কর্তারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রীতিমতো পুলিশ ডাকতে হয়েছে ইডেনে।

POST A COMMENT
Advertisement