ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে কাউকে বাধ্য করা উচিত নয়। বিসিসিআই-এর সিদ্ধান্তের কার্যত বিরোধিতাই করলেন ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। বোর্ডের সিদ্ধান্তে যে তিনি সহমত নন, বুঝিয়ে দিলেন ঋদ্ধিমান।
সম্প্রতি শ্রেয়স আইয়ার ও ঈশান কিশান কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে ছেঁটে ফেলেছে বিসিসিআই। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিসিসিআই-এর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার মত দিয়েছেন, শ্রেয়স ও ঈশান, দুজনেই ঘরোয়া ক্রিকেটকে অবজ্ঞা করেছেন। জাতীয় নির্বাচকদের এবং বোর্ডের নির্দেশ মতো তাঁরা রঞ্জি ট্রফি খেলেননি। বোর্ড সচিব জয় শাহের চিঠি পাওয়ার পরেও হেলদোল দেখা যায়নি তাঁদের মধ্যে। দুই ক্রিকেটারের আচরণে ক্ষুব্ধ বোর্ড ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল।
চলতি মরশুমে ঝাড়খণ্ডের হয়ে একটিও রঞ্জি ম্যাচ খেলেননি ঈশান। শ্রেয়সও ভদোদরার বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের হয়ে ম্যাচ খেলেননি। এহেন বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুললেন ত্রিপুরার অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা। একদা বাংলা দলের এই ক্রিকেটারের কথায়, 'আপনি কাউকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে বাধ্য করতে পারেন না। তবে এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার মতে, কাউকে কোনও কাজ করতে বাধ্য করা ঠিক নয়। প্রতিটি ম্যাচেই প্রতিটি প্লেয়ারকে সমান ভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমি যখনই ফিট থাকি, আমি খেলি। এমনকী ক্লাবের ম্যাচেও খেলি। আমি সর্বদা যে কোনও ম্যাচকে ম্যাচ হিসেবেই ট্রিট করি। আমার কাছে সব ম্যাচ সমান গুরুত্বের।'
৩৯ বছর বয়সী ঋদ্ধিমান সাহা ঘরোয়া ক্রিকেটের গুরুত্ব বোঝাতে সরফরাজ খানের উদাহরণ টানলেন ঋদ্ধিমান। তাঁর বক্তব্য, 'ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বদাই গুরুত্ব রয়েছে। সরফরাজ খান গত ৪-৫ বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করেছেন। তার প্রভাব তো থাকবেই।'
তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ার পক্ষেই কথা বললেন ঋদ্ধি। তাঁর কথায়, 'তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে সকলেই রান করছে। উইকেট পাচ্ছে। যাকে যখন দরকার, সে খেলে দিচ্ছে। আমাদের রিজ়ার্ভ বেঞ্চ তৈরি। ধ্রুবও সুযোগ পেয়ে কিন্তু খেলে দিল।'