বিশ্বকাপে যে ভাবে বাকি ১০ ম্যাচ খেলে এসেছেন, ঠিক সেভাবেই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও রোহিত শর্মা দুর্দান্ত আক্রমণ শুরু করেন। তবে সেমিফাইনালের মতো রবিবারও আউট হলেন ৪৭ রান করে। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। ক্যাপ্টেন রোহিত কি সত্যিই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো শট খেলে আউট হলেন?
রানের গতি যখন প্রায় ১০-এর কাছাকাছি। দলের স্ট্রাইক বোলাররা ব্যর্থ হতেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে বল দিয়ে দেন প্যাট কামিন্স। যদিও তাতেও রানের গতি কমেনি। ততক্ষণে ১ উইকেট হারিয়ে ফেললেও বিরাটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একের পর এক চার ছক্কা মারতে থাকেন । দশম ওভারের প্রথম বলে রান না পেলেও, দ্বিতীয় বলেই লং অনে বিরাট ছক্কা মারেন রোহিত। এর পরের বল শর্ট করে বসেন ম্যাক্সওয়েল। কভারের দিকে ঠেলে চার পেয়ে যান টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন। ৪৭-এ পৌঁছে যাওয়া রোহিতের হাফ সেঞ্চুরি যখন দোরগোড়ায় তখনই ছন্দপতন। চতুর্থ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে মিস টাইম করে ফেলেন রোহিত। কভার থেকে পেছনের দিকে দৌড়ে গিয়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন ট্রাভিস হেড।
কেন সমালোচিত হচ্ছেন রোহিত?
ভারতীয় ফ্যানদের একাংশের মতে, ম্যাক্সওয়েলের ওভারে তো ১০ রান এসেই গিয়েছিল। তা হলে আবার কেন বড় শট খেলতে গেলেন রোহিত? তিনি তো দলের ক্যাপ্টেন। আসলে, ১০ ওভার শুরু হয়ে গিয়েছিল। রোহিত জানতেন, মাঝের ওভারে বড় শট খেলা সহজ হবে না। যত সময় যাবে ততই বল পিচে পড়ে আস্তে আসবে ব্যাটে। বল নরম হয়ে যাওয়ায় সুবিধা পাবেন স্পিনাররা। তাই দ্রুত রান তুলে নিতে চেয়েছিলেন। রোহিত আউট হওয়ার পর ভারতীয় দলকে বাউন্ডারি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৩ ওভার। ২৭ তম ওভারে রাহুলের ব্যাট থেকে আসে চার।
সেই সময় উইকেটে ছিলেন বিরাট ও রাহুল। তাঁরা কতটা ভালো ছন্দে তা সকলেই জানেন। তাঁরাও যখন এই উইকেটে বাউন্ডারি পাচ্ছেন না তখন রান করা যে এই পিচে বেশ কঠিন তা বোঝাই যাচ্ছে। সেই পিচে রোহিতের গড়ে দেওয়া ভিতের উপরেই লড়াই চালাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।