এবারের বিশ্বকাপে সকলকেই অবাক করে দিয়েছে আফগানিস্তান। আর এবার নেদারল্যান্ডকেও তাঁরা আটকে রাখল মাত্র ১৭৯ রানে। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বড় রান করতে পারেননি নেদারল্যান্ডের কোনও ক্রিকেটারই। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে এখনও টিকে রয়েছেন রশিদ খানরা। আর এবার লখনউতে নেদারল্যান্ডকে কম রানে আটকে দিয়ে শেষ চারের বড় দাবিবার হয়ার পথে আফগানরা।
নেদারল্যান্ডের দুই ব্যাটার ম্যাক্স ও সাইব্রান্দ ছাড়া কেউই রান পাননি। আহমেদুল্লাহ ওমারজাই-এর বলে ৪২ রান করে আউট হন নেদারল্যান্ড ওপেনার। ৮৬ বল খেলে ৫৮ রান করে আউট হন সাইব্রান্দ। তাঁর ইনিংসে ছিল ছ'টা চার। ক্যাপ্টেন স্কট এডওয়ার্ডস প্রথম বলেই ০ রান করে প্যাভেলিয়ানে ফেরেন। নিয়মিত ব্যবধানেই উইকেট হারাতে থাকে নেদারল্যান্ড। ডাচদের ব্যাটিং গুড়িয়ে যায় তাদের নিজেদের দোষেই। এক ইনিংসে চার ব্যাটারের রান আউট হওয়ার ঘটনা বিশ্বকাপের ইতিহাসে খুব বেশি নেই। তবে বলতেই হবে ভাল ফিল্ডিং করেছেন আফগান ক্রিকেটাররা।
বল হাতে এদিন তিন উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ নবী। দুই উইকেট নিয়েছেন নূর আহমেদ। মুজিব উর রহমান নিয়েছেন ১টি উইকেট। বাকি চারটি উইকেট এসেছে রান আউট থেকে। পরপর চার ব্যাটার রান আউটের শিকার হয়েছেন সেটাও বিশ্বকাপে নতুন নজির। যদিও বিশ্বের বড় মঞ্চে ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা খুব বেশি নেই ডাচদের। তবে তার মধ্যেও তারা হারিয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকটি নামী দলকে।
সেই কারণেই বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে নেদারল্যান্ড। তবে আফগানদের বিরুদ্ধে সেই ডাচরাই এবার মুখ থুবড়ে পড়ল। ভারতীয় দল টানা সাত ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে চলে গেলেও, বাকি তিন দল কারা হবে তা নিয়েই শুরু হয়েছে লড়াই। আফগান দল দ্রুত এই রান তাড়া করে জিততে চাইবে। কারণ তাদের রান রেট খুব ভাল নয়। সেই রান রেট শেষের দিকে বিরাট গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। রশিদ খানরা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলে তা নিঃসন্দেহে একটা দারুণ ইতিহাস হবে আফগান ক্রিকেটের জন্য।