ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টেও দারুণ জয় পেল ভারত। দিল্লি স্টেডিয়ামে ভারত সাত উইকেটে জয় পেল। তিন উইকেট হারালেও রাহুল ও ধ্রুব জুরেলের ব্যাটে এল জয়ের রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতকে জয়ের জন্য ১২১ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়। স্বাভাবিক ভাবেই টিম ইন্ডিয়ার জিততে বিশেষ সমস্যা হয়নি।
ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯০ রান করে। টিম ইন্ডিয়া তাদের প্রথম ইনিংস ৫১৮/৫ এ ডিক্লেয়ার করে, যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ২৪৮ রান করে। প্রথম ইনিংসের ভিত্তিতে ভারত ২৭০ রানের লিড নিয়ে ফলো-অন দেয়। ভারতীয় দল আহমেদাবাদে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস এবং ১৪০ রানের দুর্দান্ত জয় পেয়েছিল।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল মাত্র ৮ রান করে জোমেল ওয়ারিকানের বলে আউট হন। তবে, কেএল রাহুল এবং সাই সুদর্শন ৭৯ রানের জুটি গড়ে তুলে ইনিংসকে স্থিতিশীল করেন। রোস্টন চেজের বলে আউট হওয়ার আগে সুদর্শন ৩৯ রান করেন। এরপর ার উইকেট হারাতে হয়নি ভারতকে। সাত উইকেট হাতে নিয়ে জিতে যায় তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটারদের লড়াই
ফলো অন খেলেও দারুণ ব্যাট করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে তেজনারায়ণ চন্দরপল (১০ রান) এবং অ্যালিক আথানাসে (৭ রান) দ্রুত হারিয়ে ফেলে। ৩৫ রানে দুটি উইকেট হারানোর পর, জন ক্যাম্পবেল এবং শাই হোপ তৃতীয় উইকেটে সেঞ্চুরি জুটি গড়ে উইন্ডিজকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন। ক্যাম্পবেল তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান করেন। এদিকে, শাই হোপও দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ভালো ফর্মে ছিলেন।
ম্যাচের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেও জন ক্যাম্পবেল এবং সাই হোপের দুর্দান্ত পারফর্মেন্স। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ছক্কা মেরে ক্যাম্পবেল তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করে ফেলেন। ক্যাম্পবেল ১৯৯ বল খেলে ১২টি চার এবং তিনটি ছক্কা সহ ১১৫ রান করেন। রবীন্দ্র জাদেজা ক্যাম্পবেলকে এলবিডব্লিউ আউট করে এই জুটি ভাঙেন। ক্যাম্পবেল এবং হোপ তৃতীয় উইকেটে ১৭৭ রানের জুটি গড়েন।
ক্যাম্পবেলের আউটের পর, অধিনায়ক রোস্টন চেজ দায়িত্ব নেন এবং চতুর্থ উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই জুটির সময় হোপ সেঞ্চুরি করেন, যা তার ক্যারিয়ারের তৃতীয়। টেস্ট ক্রিকেটে আট বছর পর হোপ এই সেঞ্চুরি করেন। মহম্মদ সিরাজের বলে হোপকে বোল্ড হন। হোপ ২১৪ বল খেলে ১০৩ রান করেন, যার মধ্যে ১২টি চার এবং দুটি ছক্কা ছিল।
দারুণ ছন্দে কুলদীপ
হোপের আউটের পর, ভারতীয় বোলাররা ফিরে আসেন। কুলদীপ যাদব টেন্ডিন ইমলাচ (১২ রান), রোস্টন চেজ (৪০ রান) এবং খারি পিয়েরে (০ রান) কে আউট করেন। জসপ্রীত বুমরাহ জোমেল ওয়ারিকান (৩ রান) এবং অ্যান্ডারসন ফিলিপ (২ রান) কে আউট করেন। ৩১১ রানে নবম উইকেট পতনের পর, জাস্টিন গ্লিভস এবং জ্যাডেন সিলস ভারতীয় দলের জন্য যথেষ্ট সমস্যা তৈরি করেন। তারা শেষ উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন।