scorecardresearch
 

AUS vs IND World Cup Final: বিশ্বকাপের ম্যাচ আর আমদাবাদ, টিম ইন্ডিয়াকে হারানো কঠিন! বলছে ইতিহাস

World Cup Final 2023: ২৩ মার্চ ২০০৩ এবং ১৯ নভেম্বর ২০২৩। বিশ্বকাপের সেদিনের পরাজয়ের পর থেকে মোট ৭,৫৪৭ দিনের ব্যবধান। ফলে টিম ইন্ডিয়াকে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের বদলা সুদে আসলে নিতে হবে। উল্লেখযোগ্য, সেই সময়ে টিম ইন্ডিয়াতে রাহুল দ্রাবিড় ছিলেন। আর সেই রাহুল দ্রাবিড়ই এখন টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ।

Advertisement
ছবি: আইসিসি ছবি: আইসিসি
হাইলাইটস
  • সেদিন ছিল ২৩ মার্চ ২০০৩। জোহানেসবার্গে ODI বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।
  • রিকি পন্টিংয়ের ১৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংসের সুবাদে অস্ট্রেলিয়া প্রথমেই ৩৫৯ রানের বিশাল স্কোর করেছিল। তখন, এখনকাপ মতো IPL-এর যুগ ছিল না।
  • ফলে সাড়ে ৩০০ রান মানেই তা বড় ব্যাপার ছিল। এমন বড় রান তাড়া করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত।

World Cup Final 2023: সেদিন ছিল ২৩ মার্চ ২০০৩। জোহানেসবার্গে ODI বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। রিকি পন্টিংয়ের ১৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংসের সুবাদে অস্ট্রেলিয়া প্রথমেই ৩৫৯ রানের বিশাল স্কোর করেছিল। তখন, এখনকাপ মতো IPL-এর যুগ ছিল না। ফলে সাড়ে ৩০০ রান মানেই তা বড় ব্যাপার ছিল। এমন বড় রান তাড়া করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত।

রান তাড়া শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। সচিন তেন্ডুলকার প্রথম ওভারেই গ্লেন ম্যাকগ্রার বলে চার মারেন। কিন্তু পঞ্চম বলেই আউট হয়ে যান তিনি। এরপর বীরেন্দ্র সহবাগ (৮১) ও রাহুল দ্রাবিড় (৪৭) ছাড়া বাকি সব ব্যাটসম্যানই একের পর এক আউট হতে থাকেন। ১২৫ রানে সেই ম্যাচে হারে টিম ইন্ডিয়া। এই পরাজয় টিম ইন্ডিয়ার জন্য ভীষণই যন্ত্রণাদায়ক ছিল। কারণ টিম ইন্ডিয়া বাকি পুরো টুর্নামেন্টেই দারুণ খেলেছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার একমাত্র লিগ ম্যাচেও হেরেছিল ইন্ডিয়া।

২৩ মার্চ ২০০৩ এবং ১৯ নভেম্বর ২০২৩। বিশ্বকাপের সেদিনের পরাজয়ের পর থেকে মোট ৭,৫৪৭ দিনের ব্যবধান। ফলে টিম ইন্ডিয়াকে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের বদলা সুদে আসলে নিতে হবে। উল্লেখযোগ্য, সেই সময়ে টিম ইন্ডিয়াতে রাহুল দ্রাবিড় ছিলেন। আর সেই রাহুল দ্রাবিড়ই এখন টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ।

আরও পড়ুন

অজিত আগরকারকে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ টিমে রাখা হয়েছিল। এদিকে সেই অজিতই ২০২৩ বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার প্লেয়ারদের প্রধান সিলেক্টর ছিলেন। আহমেদাবাদের ফাইনাল ম্যাচের আগে দু'জনেরই মনে সেদিনের পরাজয়ের কথা নিঃসন্দেহে মনে পড়বে।

সামগ্রিকভাবে, টিম ইন্ডিয়া এই আহমেদাবাদে ৩টি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছে। এই তিনটিতেই জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। ভারত প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। ২৬ অক্টোবর ১৯৮৭ তারিখে আহমেদাবাদে। প্রথমে খেলতে নেমে জিম্বাবোয়ে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯১ রান করে। জবাবে ৪৮ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।

Advertisement

আহমেদাবাদে টিম ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ম্যাচ ছিল ২০১১ বিশ্বকাপের। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ভারত। ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে, অস্ট্রেলিয়া, প্রথমে খেলতে নেমে, ২৬০/৬ রান করেছিল। জবাবে সেই ম্যাচে ভারত ৫ উইকেটে জিতেছে। সেই ম্যাচে বিরাট কোহলি ২৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সম্প্রতি এই একই আহমেদাবাদে বিশ্বকাপে ১৪ অক্টোবর পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।

ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা আহমেদাবাদে মোট ৪টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন। ৫১.১৬ গড়ে এবং ১০৩.০২ স্ট্রাইক রেটে মোট ৩০৭ রান করেছেন। আহমেদাবাদে সবচেয়ে বেশি রান করার ক্ষেত্রে রাহুল দ্রাবিড়ের ৩৪২ রানের রেকর্ড ভাঙার কাছাকাছি এসে গিয়েছেন রোহিত।

৩৬ রান করতে পারলেই আহমেদাবাদে বিশ্বকাপ খেলায় ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে উঠবেন 'হিটম্যান'। অথচ এই ভেন্যুতে কিং কোহলির ব্যাট সেভাবে ঝলসে উঠতে পারেনি। তিনি মোট ৪ ম্যাচে গড়ে ২৮ রান করে মোট ১৯২ রান করেছেন।

ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডেতে সামগ্রিক পরিসংখ্যান
মোট ম্যাচ ১৫০
ভারত জিতেছে ৫৭টি
অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৮৩টি
টাই ০

ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ওডিআই বিশ্বকাপে
মোট ম্যাচ খেলেছে ১৩টি
ভারত জিতেছে ৫ টি
অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৮ টি
টাই ০
 
আহমেদাবাদে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড
মোট ম্যাচ ৩টি
ভারত জিতেছে ২টি
অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ১টি

ভারতের সামগ্রিক রেকর্ড (আহমেদাবাদে)
মোট ১৯টি ম্যাচ 
জয় ১১টি 
হেরেছে ৮টি

Advertisement