India Vs Australia 2023 Mohammad Shami: কদিন আগেই বধূ নির্যাতন থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগে জামিন পেয়েছেন। আলিপুর আদালতে জামিন মঞ্জুর হয়। অন্য কেউ হলে হয়তো বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেনি আদালত। তবে আদালতের নির্দেশ ছিল, এক মাসের মধ্যে যাতে তিনি এসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এর মধ্য়ে জাতীয় দলে থাকলেও কখনও ইন কখনও আউট হয়েছেন। এশিয়া কাপে একটি ম্যাচে খেলেছেন। ফাইনালে সুযোগ পাননি। বিগত কিছু সিরিজ ধরে তিনি কখনও ইন, কখনও আউট হয়েছেন। তিনি এখন আর প্রথম চয়েজ বোলার নন, এমনকী দ্বিতীয় ও তৃতীয়ও নন। কেউ চোট পেলে বা কাউকে বিশ্রাম দিতে হলে তাঁকে খেলানো হচ্ছে। অথচ তিনি মহম্মদ শামি। তাঁকে যে ফেলে দেওয়াও যায় না। তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে সিরাজকে বিশ্রাম দিয়ে তাঁকে আর বুমরাকে খেলানো হয়েছিল। সঠিক সময় নিখুঁত লাইন লেংথে বল কলে অস্ট্রেলিয়াকে মাটি ধরিয়ে দিলেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন এশিয়া কাপে রিজার্ভ বেঞ্চে থাকলেও তিনি এখনও বিষাক্ত। মহম্মদ শামির ৫ উইকেটের সৌজন্য অস্ট্রেলিয়ার মত শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন সমৃদ্ধ দলকে ২৭৬ রানে বেঁধে রাখল ভারতীয় দল। দীর্ঘ দিন পর দলে ফিরে একটি উইকেট পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও।
অসাধারণ বোলিং করলেন অভিজ্ঞ পেসার মহম্মদ শামি। তিনি ১০ ওভার বোলিং করে ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। তার মধ্যে তিনটিই বোল্ড। সবচেয়ে ভাল বলটি তুলে রেখেছিলেন বিপক্ষ দলের সেরা ব্যাটারের জন্য। স্টিভ স্মিথের অফস্টাম্পের বাইরে পড়া বলটি খানিকটা সুইং আর অনেকটা কাট করে ভিতরে ঢুকে পড়ে। ব্যাট পেতেও রক্ষা পাননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল স্টাম্প ভেঙে দেয়। এর আগেও তিনি উইকেট তুলেছেন মিচেল মার্শের। তবে এটিই সেরা।
এই ম্যাচে ভারতের এদিনের অধিনায়ক কেএল রাহুল টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। চতুর্থ বলেই মিচেল মার্শের (৪) উইকেট তুলে নেন সামি। এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন অস্ট্রেলিয়ার অপর ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভ স্মিথ।
এশিয়া কাপে বেশিরভাগ ম্যাচেই খেলার সুযোগ পাননি শামি। এদিন সুদে আসলে মিটিয়ে নিলেন। মোহালিতে তাঁর শিকার হলেন মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, মার্কাস স্টোইনিস, শর্ট ও শন অ্যাবট। পারফরম্যান্সের পর সামি বলেন এখানে খুব গরম, উইকেট থেকে খুব একটা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই কারণে উপযুক্ত লেংথে বল রাখা এবং বোলিংয়ে বৈচিত্র আনা জরুরি ছিল। পরিশ্রম করে উইকেট পেলে ভালো লাগে। এর ফলে দলের ও নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।