পরপর দুই ম্যাচ, দুটোতেই ডাক। বিরাট কোহলিকে আবার ফিরতে হল ০ রানেই। যার জেরে দ্বিতীয় ম্যাচেও সমস্যায় টিম ইন্ডিয়া। শুরুতে পার্থেও ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রান না করেই ফিরতে হয় তাঁকে। আর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে এলবিডাব্লিউ হতে হল বিরাটকে। অজি বোলারদের বিরুদ্ধে একেবারেই ব্যর্থ তাঁর ব্যাট। যে অ্যাডিলেডে প্রচুর রান করেছেন সেখানেও ব্যর্থতাই সঙ্গী তারকার।
২০১২ সালে এই মাঠে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। তারপর সব ফরম্যাট মিলিয়ে আরও চারটি সেঞ্চুরি করেছেন এই মাঠে। ভারতীয় হিসাবে অ্যাডিলেডে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন বিরাট। এই মাঠ থেকেই ভারত অধিনায়ক হিসাবে তাঁর যাত্রা শুরু। পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে শেষবার অ্যাডিলেডে ওয়ানডে খেলতে নেমে বিরাট সেঞ্চুরি করেছিলেন। বিরাট ভক্তদের আশা ছিল, কেরিয়ারের সবচেয়ে সংবেদনশীল মুহূর্তে এসে কোহলি পয়া মাঠ হতাশ করবে না কোহলিকে। কিন্তু সেই আশা পূরণ হল না।
প্রথম ম্যাচে আটটা বল খেললেও, একবারের জন্যও তাঁকে স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা যায়নি। শেষ অবধি স্টার্কের বলে, রান করতে মরিয়া হয়ে শট খেলে ফেলেন বিরাট। তাঁর শট মাটি ঘেঁষা ছিল না। ক্যাচ উঠে যায়। পয়েন্টের হাতে ধরা পড়েন। অ্যাডিলেডে শুরু থেকেই বল স্যুইং করেছে পার্থের থেকে বেশি। আর সেই স্যুইং-এই উইকেট হারাতে হল দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটারকে। তিনটে বল খেললেন বটে কিন্তু একবারও তাঁকে আত্মপ্রত্যয় নিয়ে খেলতে দেখা যায়নি। এরপর ম্যাচের চতুর্থ বলেই ঘটে গেল সেই ঘটনা। তরুণ বার্টলেটের ইনসুইংয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন বিরাট।
দেখুন কীভাবে আউট হলেন বিরাট?
২০২৭-এর বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন বিরাট। এই সিরিজ ছিল অ্যাসিড টেস্ট। প্রথম দুই ম্যাচে খাতা খুলতে না পেরে সেই লড়াই কঠিন করে ফেললেন বিরাট। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, টেস্ট, টি২০ ছেড়ে দেওয়ায়, ম্যাচ প্র্যাকটিস কম হয়েছে বিরাটদের। আর সে কারণেই এই সমস্যা। নেটে শত ঘাম ঝরালেও তা ম্যাচের মতো কখনই হয় না। সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন রবি শাস্ত্রীরা।