
২০২৩ সাল থেকেই ভারতীয় দলের কাছে আতঙ্কের অপর নাম ট্রাভিস হেড। বিশ্বকাপ তো বটেই, এমনকি দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা। যদিও সাম্প্রতিক সময় সেই চেনা ছন্দে নেই হেড। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টি২০ ম্যাচের আগেই দল ছেড়ে অ্যাসেজের প্রস্তুতিতে মন দিচ্ছেন তিনি। ফলে সূর্যকুমারের দল অনেকটা স্বস্তি পেল তা বলা যায়।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজের প্রস্তুতি নিতে অস্ট্রেলিয়া দল ছেড়ে প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া ক্রিকেট শেফিল্ড শিল্ডে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। ভারতের সঙ্গে টি২০ সিরিজের থেকেও, মর্যাদার অ্যাসেজকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। শুধু হেডই নন, এর আগে জশ হ্যাজলউড, মিচেল স্টার্ক, স্টিভেন স্মিথ, ক্যামেরন গ্রিন, নাথান লায়ন, অ্যালেক্স ক্যারি ও মারনাস লাবুশেনও অ্যাশেজের প্রস্তুতি নিতে নিজেদের রাজ্য দলে যোগ দিয়েছেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) জানিয়েছে, পার্থে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচের একাদশে থাকতে পারেন, এমন সবাই ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা শেফিল্ড শিল্ডের চতুর্থ রাউন্ডে খেলবেন। ভারতের বিপক্ষে শেষ দুই টি–টোয়েন্টি খেলবেন নাকি অ্যাশেজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শেফিল্ড শিল্ডে খেলবেন, সেই সিদ্ধান্ত হেডের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকেরা। হেড বেছে নিয়েছেন দ্বিতীয়টি। সর্বশেষ বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির আগেও শেফিল্ড শিল্ডে একটি ম্যাচ খেলেন হেড। প্রস্তুতিটা যে ভালোই হয়েছিল, তা সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়াতেই বোঝা যায়।
সাদা বলের ক্রিকেট থেকে লাল বলের ক্রিকেটের গুরুত্ব বেশি অস্ট্রেলিয়ার এই তারকার কাছে। বিশেষ করে গত মরসুমে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হারের পর থেকে তা ফেরত পাওয়ার লক্ষ্যে মরিয়া ক্যাঙ্গারুরা। হেডকে দেখা যাবে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে, প্রতিপক্ষ তাসমানিয়া। ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে।
হেডের অনুপস্থিতিতে ভারতের বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচে অধিনায়ক মিচেল মার্শের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন জশ ফিলিপে। অথবা মিচেল ওয়েনকে মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে তুলে আনা হতে পারে। গোল্ডকোস্টে ৬ নভেম্বরের ম্যাচ দিয়ে আড়াই মাস পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে নামবেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।