এই ফ্রেমে অস্ট্রেলিয়ার কুপার কনলি (বামে) এবং ভারতের মোহাম্মদ সিরাজওডিআই সিরিজে হারল ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজে দুই ম্যাচই হেরে গেল শুভমন গিলের ভারতীয় দল। অপটাস স্টেডিয়ামের পর, অ্যাডিলেডেও হারের মুখে ভারত। ব্যাটিং-এর পাশাপাশি বলিং-এও টেক্কা দিল অজিরা। ৭ উইকেট হারিয়েও কোনওলি ব্যাট ভরসা দিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়াকে। বিরাট কোহলির ব্যাটে রান নেই, আর ভারত হারছে।
কেমন ছিল ভারতের ইনিংস?
অ্যাডিলেডে রোহিত শর্মা ব্যাট হাতে তাঁর ফর্ম ফেরত পেয়েছেন। শতরান করতে না পারলেও, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে না হলেও, দায়িত্ববান ওপেনারের মতো ভারতকে বের করেছেন সমস্যা থেকে। শ্রেয়স আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে সিঙ্গল, ডাবলস নিয়ে দলের রান এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। বিরাটের ব্যর্থতার দিনে আরেক তারকার হাফ সেঞ্চুরি। ৭৪ বল খেলে ৫০ করেন হিটম্যান। ততক্ষণে চারটে চাড় আর ২টো ছক্কা মেরে ফেলেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন। এটা তাঁর কেরিয়ারে ৪৯ তম হাফ সেঞ্চুরি। শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে তাঁর জুটি ভাঙতে স্পিনারদের নিয়ে এলেও উইকেট পায়নি অস্ট্রেলিয়া।
টসে ফের হারতে হয়েছে শুভমন গিলকে। ফলে ফিল্ডিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে টসের সময় গিল বলেন, 'আমরা প্রথমে বোলিং করতে পারতাম, কিন্তু ব্যাটিং করাটা ভালো ছিল। বৃষ্টি হলে সবসময়ই কঠিন। আশা করি, আজ কোনও বাধা আসবে না। আমাদের প্লেয়িং ১১ একই থাকবে।' স্পষ্টতই, টস জেতার পর তাদের অবস্থান নিয়ে তারা দ্বিধাগ্রস্থ বলে মনে হচ্ছিল। এ দিকে, মিচেল মার্শ টস জেতার পরপরই প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। আশর্শদীপ সিং অধিনায়ক মিচেল মার্শকে (১১ রান) আউট করেন। এরপর হর্ষিত রানা ট্র্যাভিস হেডকে (২৮ রান) আউট করেন। সেখান থেকে ম্যাথু রেনশ এবং ম্যাথু শর্ট তৃতীয় উইকেটে ৫৫ রান যোগ করেন। রেনশকে ৩০ রানে অক্ষর প্যাটেলের হাতে বোল্ড করেন। এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর অ্যালেক্স ক্যারিকে (৯ রান) আউট করেন।
অ্যালেক্স ক্যারির আউটের পর, পঞ্চম উইকেটে শর্ট এবং কুপার কনলি ৫৫ রান যোগ করেন। শর্ট ৭৮ বলে ৭৪ রান করেন, চারটি চার এবং দুটি ছক্কা মারেন। পাঁচ উইকেট হারানোর পর, মিচেল ওয়েন এবং কুপার কনলি ষষ্ঠ উইকেটে ৫৯ রান যোগ করেন।