Rohit Sharma India vs England 2nd ODI: প্রবল সমালোচনার মুখে ক্রমশ খাদের কিনারে তলিয়ে যাচ্ছিলেন। একের পর এক ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে হাতে আসছিল কেবল ব্যর্থতা। কারও মনেই পড়ছিল না, তাঁর ব্যাগেই রয়েছে ওয়ান-জে ক্রিকেটে দু'দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতেও অসহায়ের মতো ব্যাট চালিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেছিলেন। চাপ বাড়ছিল। আরও একটা ব্যর্থতা মানে আরও আত্মবিশ্বাস তলানিতে।
সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তিনি ক্যাপ্টেন। তাঁকে দলে রাখার জন্য ফর্মে থাকা ব্যাটারদের বাইরে রাখতে হচ্ছে। যশস্বী জয়সওয়ালের মতো খেলোয়াড়কে এদিনও বসতে হয়েছিল। সুনীল গাভাসকারও তাঁর সমালোচনা করেন। সব মিলিয়ে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসা রোহিত কটকের বারাবতী স্টেডিয়ামকেই বেছে নিলেন স্বমূর্তিতে ফিরতে। ৭৬ বলে তুলে নিলেন মেডেন সেঞ্চুরি। একদম স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ। কোনও চান্স দেননি আজকে। ৩০ বলে নিয়েছিলেন প্রথম ৫০। পরের অর্ধশতরান এল আরও ২৬ বলে। কোনও ঝুঁকি ছাড়াই। সেই সঙ্গে গড়লেন নয়া রেকর্ডও।
এদিন শুরু থেকেই একদম পুরনো রোহিতকেই দেখা যাচ্ছিল। ব্যাটের মাঝখান দিয়ে খেললেন। একের পর এক ছক্কা গ্যালারিতে ফেললেন। যাতে মনে হচ্ছিল পুরনো শুরুর দিকের রোহিত ফিরে এসেছেন। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করলেন শুভমান গিলও। তিনিও রোহিতের পথেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। পরপর দুই ম্যাচে তাঁর ব্যাটও ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। এদিন রোহিতের ব্যাটে কোনও ভুল ছিল না। এমনকী হাফ সেঞ্চুরি করার আগে তাঁর প্রিয় পুল শটও একটাও মারেননি। পুল যখন মারলেন তাঁর রান ৬০ এর ঘরে। শেষমেষ ৩৪ তম ওয়ান-ডে সেঞ্চুরি করেই থামলেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রোহিত ব্যাট করছেন।
ব্যাট হাতে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না রোহিত শর্মার। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ, বর্ডার গাভাসকর ট্রফি বা রঞ্জি লাল বলে রানের খরা অব্যাহত। মনে করা হয়েছিল সাদা বলে ফিরলেই রোহিতকে স্বমহিমায় দেখা যাবে। কিন্তু কোথায় কী! নাগপুরে প্রথম একদিনের ম্যাচে রান পাননি। তবে কটকে রোহিতের সামনে রেকর্ড সৃষ্টির হাতছানি রয়েছে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ওপেনার হিসাবে রোহিত শর্মা ভারতের অন্যতম ভরসা। এমনকি টেস্টেও বিগত কয়েক বছরে তাঁকেই ওপেন করানো হচ্ছে। রোহিতের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান দেখেন তাঁকে বিচার করলে বোধহয় ভুল হবে। কারণ পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা।
এদিন ৫০ রান করার সঙ্গেই কিংবদন্তী সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড ভেঙে দেন রোহিত। ভারতীয় ওপেনার হিসাবে ৩৪৬ ম্যাচে ৪৮.০৭ গড়ে ১৫৩৩৫ রান করেছেন। ৩৭ বছর বয়সী রোহিত ৩৪২ ম্যাচে ৪৫.২২ গড়ে ১৫২৮৫ রান করেছিলেন ম্যাচের আগে। এর ফলে কটকে ৫০ করার সঙ্গে সঙ্গেই সচিনকে টপকে গেলেন তিনি। বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ভারতীয় ওপেনারদের তালিকায় ১ নম্বরে আছেন। তিনি ৩২১ ম্যাচে ৪১.৯০ গড়ে ১৫৭৫৮ রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানের নিরিখে ওপেনারদের তালিকায় ৮ নম্বরে আছেন রোহিত।