ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন বোলাররা। মহম্মদ সিরাজ আর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার দাপটে ইংল্যান্ডকে ২৪৭ রানে গুটিয়ে যেতে হয়। ভারতীয় দল কিছুটা ভাল ব্যাট করতে পারলে ইংল্যান্ড ব্যাকফুটে চলে যেতে পারে। কারণ কেএল রাহুল ও সাই সুদর্শন আউট হলেও ভারত ৫২ রানে এগিয়ে।
ইংল্যান্ডকে একটা সময় ভয়াবহ মনে হচ্ছিল, বিশেষ করে যখন ডাকেট এবং ক্রাউলি পুরোদমে খেলছিলেন। তাদের বিস্ফোরক ওপেনিং জুটির সময় প্রতি ওভারে সাত রানের বেশি করে নিচ্ছিলেন। তবে প্রসিদ্ধ দ্বিতীয় সেশনে অসাধারণ বল করে ক্রলির উইকেট তুলে নেন। পাশাপাশি তিনি ইনিংসে চারটি উইকেট তুলে নেন। সিরাজও চারটি উইকেট নিয়ে নেন। সিরিজে তার ১৮ উইকেট হয়ে গেল।
মধ্যাহ্নভোজের পর, ভারতীয় বোলাররা ফিরে আসেন এবং ইংল্যান্ডকে ৬টি বড় ধাক্কা দেন। প্রথমে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা জ্যাক ক্রাউলিকে প্যাভিলিয়নে পাঠান। ক্রাউলি ৫৭ বলে ১৪টি চার মেরে ৬৪ রান করেন। এরপর মহম্মদ সিরাজ ক্যাপ্টেন অলি পোপ (২২ রান), জো রুট (২৯ রান) এবং জ্যাকব বেথেল (৬রান) সবাইকে এলবিডব্লিউ করেন। বেখেলের আউটের সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ১৯৫/৫। এর পর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা একই ওভারে জেমি স্মিথ (৮ রান) এবং জেমি ওভারটন (০ রান) কে আউট করেন।
খেলার শেষের দিকে, ভারত ম্যাচে ফেরে, ২ উইকেটে ৭৫ রান করে, ৫২ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করে। যশস্বী জয়সওয়াল দুবার সুযোগ দিলেও তা লাইফ নিতে পারেননি ইংল্যান্ড ফিল্ডাররা। দুর্দান্ত অর্ধশতরান করেন। শেষ সেশনের মাত্র ২০ মিনিট বাকি থাকতেই ভারত ৩ নম্বর ব্যাটার সাই সুদর্শনের উইকেট হারায়। আকাশ দীপকে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে পাঠান হয়। তিনি যদিও আউট হননি। ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন অলি পোপও বেশি ঝুঁকি নিতে যাননি। আলোও খুব ভাল ছিল না। ফলে খেলা ১৫ মিনিট আগেই শেষ হয়।
ওভাল টেস্টে ভারতীয় দলের প্লেয়িং একাদশ: যশস্বী জয়সওয়াল, কেএল রাহুল, সাই সুদর্শন, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ওয়াশিংটন সুন্দর, রবীন্দ্র জাদেজা, ধ্রুব জুরেল (উইকেটরক্ষক), করুণ নায়ার, প্রসিধ কৃষ্ণ, মহম্মদ সিরাজ এবং আকাশ দীপ।
ইংল্যান্ড একাদশ: জ্যাক ক্রাউলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ (অধিনায়ক), জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জ্যাকব বেথেল, জেমি স্মিথ (উইকেটরক্ষক), ক্রিস ওকস, গাস অ্যাটকিনসন, জেমি ওভারটন এবং জশ টং।