সবাই ভেবেছিলেন, ইংল্যান্ডে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হবে ভারতীয় দলকে। একে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলি নেই, তার উপর আবার ইংল্যান্ডের পিচ। ম্যাচের প্রথম একটা ঘন্টা দেখে সব আশঙ্কা আপাতত উধাও। চোখ কচলে, চিমটি কেটে দেখতে হচ্ছে স্কোরবোর্ড। ঠিক দেখছি তো? দিনের শেষে যা দেখা গেল তাতে ২০০২-এর পুনরাবৃত্তিও আশা করা যায়। যা নিয়ে পোস্ট করলেন সৌরভ-সচিনও।
কী হয়েছিল ২০০২ সালে?
সেবার প্রথম টেস্টে হার। দ্বিতীয় টেস্ট ড্র করে ওভালে পৌঁছায় ভারত। ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে খুব ভাল জোরে বোলার নেই। ম্যাচ জিততে ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারকে নিতে হয়েছিল দায়িত্ব। ওই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ওপেন করতে এসে সঞ্জয় বাঙ্গর ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন তবে দলের হয়ে তিনজন শতরান হাঁকান। প্রথমত রাহুল দ্রাবিড় ১৪৮, সচিন তেন্ডুলকর ১৯৩ ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ১২৮ রান করেন। ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬২৮ রান করে।
জবাবে অনিল কুম্বলে ও হরভজন সিংয়ের স্পিনের দাপট ইংল্যান্ডকে ২৭৩ রানেই আটকে দেয়। এরপর ফলো অনে ব্যাটিং করতে এসে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক নাসির হুসেনের ব্যাট থেকে শতরান আসলেও, আবার একবার অনিল কুম্বলের বোলিং-এর সামনে পরাস্ত হতে হয় ইংলিশ ব্যাটারদের। ৩০৯ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড দল ভারতীয় দল ইনিংস ও ৪৬ রানে টেস্ট ম্যাচ জয় করে।
সেই ম্যাচের স্মৃতি আবার ফেরত এল একসময়ের দুই তারকার কথায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় হেডিংলে টেস্টের সেই কথা তুলে সচিন যখন ভারতের নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে অতিতের ছায়া দেখছেন, তখনই তাতে যোগ পার্টনার সৌরভ। দুই তারকার সোশ্যাল মিডিয়ায় খুনসুটি এখন ভাইরাল।
কী বললেন দুই তারকা?
'এর দারুণ ভিতের উপর দাঁড়িয়ে ভারতীয় দল। যশস্বী এবং শুভমন গিলকে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির জন্য অভিনন্দন। পন্তের এর অবদান দলের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজকের ভারতের ব্যাটিং আমাকে ২০০২ সালের হেডিংলি টেস্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, যখন রাহুল, সৌরভ এবং আমি প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলাম এবং আমরা টেস্ট জিতেছিলাম। আজ, যশস্বী এবং শুভমান তাদের ভূমিকা পালন করেছে। এবার তৃতীয় সেঞ্চুরিয়ান কে হবেন?' এটা ছিল সচিন তেন্ডুলকরের পোস্ট। কমেন্ট করে সৌরভ বলেন, '৩ কেন ৪ ও হতে পারে। পিচটা বেশ ভাল। পন্তের পর করুণ নায়ারও সেঞ্চুরি পেতে পারে। তবে ২০০২-এর পিচ এর থেকে আলাদা ছিল।'