ইডেনের পিচইডেন গার্ডেন্সের পিচ কেমন হবে? তা নিয়ে জল্পনা চলছে অনেকদিন ধরেই। প্রায় ছয় বছর পর টেস্ট ম্যাচ পেয়েছে কলকাতা। শুক্রবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শূরু হতে চলা এই টেস্ট নিয়ে উন্মাদনার পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ দারুণভাবে ড্র করার পর ঘরের মাঠে শুভমন গিলের পরীক্ষা।
সৌরভ এখন আবার পুনরায় সিএবি প্রেসিডেন্ট। শুধু গত ছ'বছরে একটা জিনিস বদলায়নি ইডেন বাইশ গজ নিয়ে নিরন্তর চর্চা। তার সম্ভব্য মর্জি-খেয়াল নিয়ে অন্তহীন গবেষণা। তবে র্যাঙ্ক টার্নার যে হচ্ছে না তা স্পষ্ট করেছেন সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে পিচের ব্যাপারে কোনও অনুরোধ এখনও অবধি আসেনি। সৌরভ বলেন, 'টিম ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে কোনও অনুরোধ আসেনি। প্রথম দিন থেকে বল টার্ন করবে এমন পিচ বানানো সম্ভব নয়। আমি পিচ দেখেছি।'
তবে টার্ন যে একেবারে থাকবে না তেমনটা নয়। তৃতীয় দিনের পর থেকে বল ঘুরবে। সৌরভ সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বদল হয়েছে ইডেন বাইশ গজের। অতীতের ঢ্যাবঢ্যাবে, স্লো টার্নার পিচ ইডেনে দেখতে পাওয়া যায় না এখন। বরং ইডেন আজ ভারত-বিখ্যাত তার গতিময়তার জন্য। এ দিন ওয়াকিবহাল মহলের কারও কারও সঙ্গে কথা বলে মনে হল, তাঁরা ভারতীয় দলের দাবিদাওয়া নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশায়।
কেউ কেউ বললেন যে, টিমের ইচ্ছানুসারে টার্ন করাতে গেলে পিচ এখন খুলে রেখে দিতে হবে। ঢাকা দিয়ে রাখলে চলবে না। সেটা কী করে সম্ভব? আর তা হচ্ছেও না। এ দিনও ইডেন পিচে কভার দেওয়া ছিল। বলা হল, বড়জোর ঘাস ছেঁটে দেওয়া যেতে পারে। যাতে রাবাডা নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঘা পেস-আক্রমণকে নির্বিষ করে দেওয়া যায়। কিন্তু বিশাল টার্ন ইডেন থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ছোট-ছোট টার্ন হবে। ওয়াকিবহাল মহল আরও বলছে, টেস্ট ক্রিকেটটা পাঁচ দিনের খেলা।
ছ'বছর বাদে শহরে টেস্ট ফিরছে বলে লোকের মধ্যে আগ্রহ-উদ্দীপনা যথেষ্ট রয়েছে। ক্রিকেট দর্শক তো পাঁচ দিন ধরে মাঠে এসে খেলা দেখতে চাইবেন। তিন- সাড়ে তিন দিনে খেলা শেষ হয়ে গেলে, কী লাভ তাতে? তা ছাড়া পিচে বল ঘুরলেই যে ভারত দারুণ খেলবে, তার গ্যারান্টি কোথায়?