India Vs England Virat Kohli: ৫ ইনিংসে মোট সংগ্রহ ৬৩। একই সিরিজে যেখানে অন্য দুই অভিষেককারী ব্যাটার সরফরাজ খান এবং ধ্রুব জুড়েল ব্যাটিং ক্যারিজমায় ফুটেজ পাচ্ছেন। সেখানে অন্ধকারে ডুবে রজত পাতিদারের কেরিয়ার। শুরুতেই বিপাকে তিনি। প্রথম টেস্টের দুটি ইনিংসে যেভাবে তিনি আউট হয়েছেন, তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁর রান খরা কতটা দীর্ঘ হতে পারে? এই মুহূর্তে যেন বলা যায়, আর একটা ইনিংস। যদি ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সেকেন্ড ইনিংসে সুযোগ হয়। তাহলে কপাল ভাল। নইলে তাঁর লাইফ লাইন শেষ বলা যায়।
৩০ বছর বয়সে অবশেষে টেস্ট অভিষেক হয়েছে। এর আগে টেস্ট দলে ডাক পেলেও খেলার সুযোগ হয়নি। অবশেষে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে টেস্ট অভিষেক হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জেরে সুযোগ পেয়েছিলেন। বিরাট কোহলির ব্যাটিং পজিশনে নামার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্যের ধারা টেস্টে জারি রাখতে ব্যর্থ।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম দু-ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি। প্রাথমিক ভাবে দু-ম্যাচ থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে বাকি তিন ম্যাচ থেকেও সরে দাঁড়ান। সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তিনি শেষ ম্যাচে ফিরলেও ফিরতে পারেন।তিনি ফিরলে এমনিতেই কাউকে জায়গা ছাড়তে হবে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ তাঁরই অবস্থা। সিরিজের পঞ্চম টেস্ট শুরু ৭ মার্চ। সে কারণে বিরাটের ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর তিনি ফিরলে এমনিতেই বাদ পড়বেন রজত। তবে রান করে রাখলে নির্বাচকদের ভাবাতে পারতেন। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে নেই তিনি।
অবশ্য বিরাট না ফিরলেও দলে জায়গা ধরে রাখা কঠিন রজত পাতিদারের ক্ষেত্রে। রাঁচি টেস্টে দল বেকায়দায় পড়ে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করে ৩৫৩ রান। জবাবে ৮৬ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারায় ভারত। ব্যাটিংয়ের জন্য পিচ এখনও আদর্শ। অন্তত যশস্বী জয়সওয়ালের ব্যাটিং দেখে বলাই যায়। এ ধরনের পিচে বছরের পর বছর খেলেছেন রজতও। শুরুতেই অবশ্য ক্যাচ তুলেছিলেন রজত পাতিদার। অল্পের জন্য বাঁচেন। যদিও ক্রিজে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারলেন না। তাঁর রক্ষণ এত নড়বড়ে দেখাবে, সেটা প্রত্যাশিত নয়। শোয়েব বশিরের বলে লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন রজত। ৪২ বলে ১৭ রানেই ইতি।
বিশাখাপত্তনমে অভিষেক টেস্টে দু-ইনিংসে তাঁর অবদান ৩২ ও ৯। রাজকোটে ৫ ও ০। রাঁচিতে প্রথম ইনিংসে ১৭। দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান না করলে এই ম্যাচই কেরিয়ারের শেষ হয়ে দাঁড়াতে পারে। স্কোয়াডে রয়েছেন দেবদত্ত পাডিক্কাল। রঞ্জিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলে এসেছেন দেবদত্ত। ফলে বিরাট না ফিরলেও পাডিক্কালকে খেলাতে পারে ম্যানেজমেন্ট।