গুজরাত টাইটান্স সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ২২৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে। গুজরাত টাইটান্সের হয়ে শুভমান গিল ৭৬ এবং জস বাটলার ৬৪ রান করেন। চলতি আইপিএল মরশুমে, গুজরাত টাইটান্স এখন পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ খেলে ৬টিতে জিতেছে। অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদও একই সংখ্যক ম্যাচ খেলেছে, কিন্তু তিনটি ম্যাচ জিতেছে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের শুরুটা ভালো হয়েছিল। ইমপ্যাক্ট সাবস ট্র্যান্ডিস হেড এবং অভিষেক শর্মা মিলে ২৭ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। হেডকে আউট করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এই জুটির ইতি টানেন। হেড ১৬ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২০ রান করেন। এই ম্যাচে ইশান কিষাণ বিশেষ কিছু করতে পারে ননি এবং ১৩ রান করে জেরাল্ড কোয়েটজির বলে আউট হন। এটি ছিল গুজরাট টাইটান্সের হয়ে ফাস্ট বোলার কোয়েটজির অভিষেক ম্যাচ।
এখান থেকে, অভিষেক শর্মা এবং হেনরিখ ক্লাসেনের উপর দ্রুত রান করার দায়িত্ব ছিল। অভিষেক ফর্মে ছিলেন এবং ২৮ বলে তার পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেন, কিন্তু এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তিনি আউট হন। অভিষেককে আউট করেন অভিজ্ঞ বোলার ইশান্ত শর্মা। অভিষেক ৪১ বলে চারটি চার ও ছয়টি ছক্কার সাহায্যে ৭৪ রান করেন। অভিষেক এবং ক্লাসেনের মধ্যে তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে ওঠে
গুজরাত টাইটান্সের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল। শুভমান গিল এবং সাই সুদর্শন পাওয়ারপ্লেতে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বোলারদের ব্যাপক মারেন। দুজনের মধ্যে ৪১ বলে ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ওঠে। সাই সুদর্শনকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন স্পিনার জিশান আনসারি। সুদর্শন ২৩ বলে ৯ টি চারের সাহায্যে ৪৮ রান করেন। সুদর্শন আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই, শুভমান ২৫ বলে তার পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেন।
শুভমান গিল ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হর্ষল প্যাটেলের থ্রোতে তিনি রান আউট হয়ে যান। শুভমান ৩৮ বলে ১০টি চার এবং২টি ছক্কার সাহায্যে ৭৬ রান করেন। দ্বিতীয় উইকেটে শুভমান এবং জস বাটলারের মধ্যে ৬২ রানের জুটি গড়ে ওঠে। শুভমন আউট হওয়ার পর, বাটলার ও য়াশিংটন সুন্দরের সাথে দায়িত্ব নেন এবং মাত্র ৩১ বলে তার পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেন। ৬১ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ দেন বাটলার। বাটলার তার ৩৭বলের ইনিংসে চারটি ছক্কা এবং তিনটি চার মারেন। তৃতীয় উইকেটে বাটলার এবং সুন্দর ৫৭ রানের জুটি গড়েন।
গুজরাত টাইটান্স প্লেয়িং-১১: সাই সুদর্শন, শুভমান গিল (অধিনায়ক), জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), ও য়াশিংটন সুন্দর, রাহুল তেওয়াতিয়া, শাহরুখ খান, রশিদ খান, আর সাই কিশোর, জেরাল্ড কোয়েটজি, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ প্লেয়িং-১১: অভিষেক শর্মা, ইশান কিশান, হেনরিক ক্লাসেন (উইকেটরক্ষক), অনিকেত ভার্মা, কামিন্দু মেন্ডিস, নীতীশ কুমার রেডি, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), হর্ষাল প্যাটেল, জয়দেব উনাদকাট, জিশান আনসারি, মহম্মদ শামি।