ইডেন গার্ডেন্সে দারুণ ছন্দে রাজস্থান ক্যাপ্টেন রিয়ান পরাগ। প্লে অফের আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কলকাতার বিরুদ্ধে দারুণ ইনিংস খেললেও দলের হার বাঁচাতে পারলেন না। আশা জাগালেও, কাজের কাজটা সেরে আসতে পারলেন না রিয়ান পরাগ। ১ রানে হেরে গেল রাজস্থান।
দারুণ ইনিংস
৯৫ রান করে তিনি আউট হতেই আশা শেষ হয় রাজস্থানের। তাঁর ৪৫ বলে ৯৫ রানের এই ইনিংস রাজস্থানকে খেলায় ফেরায়। ছ'টা চার ও আটটা ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস। তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন দলের রান, ৫ উইকেটে ৭১। এমন অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালাতে থাকেন রাজস্থান ক্যাপ্টেন। সঙ্গ দেন শেমরান হেটমায়ার। ক্যারেবিয়ান ক্রিকেটারের ২৯ রান করে আউট হতেই চাপ বাড়ে রিয়ানের উপর। তিনিও বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন হর্ষিত রানার বলে।
কেকেআর-এর ইনিংস
পাওয়ার প্লের শুরুতে কলকাতা সুনীল নারিনের উইকেট হারালেও রহমানুল্লা গুরবাজ ও ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যান। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে, ৫৬ রান করে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপর তৃতীয় উইকেটে অজিঙ্কা রাহানে এবং অঙ্গকৃষ রঘুবংশীর মধ্যে ৪২ রানের জুটি গড়ে ওঠে। রাহানেকে আউট করেন রিয়ান পরাগ। রাহানে ২৪ বলে ২ টি ছক্কা ও একটি চারের সাহায্যে ৩০ রান করেন। কলকাতা পাঁচ নম্বরে আন্দ্রে রাসেলকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যা সফল হয়। রাসেল মাত্র ২২ বলে তার পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেন, চার ও ছক্কার মারেন।
চতুর্থ উইকেটে আন্দ্রে রাসেল এবং অংক্রিশ রঘুবংশীর মধ্যে ৬১ রানের জুটি গড়ে ওঠে। রঘুবংশীকে প্যাভিলিয়নে পাঠান জোফরা আর্চার। রঘুবংশী ৩১ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করেন।
রাজস্থানের ইনিংসলক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটা খারাপ হয়েছিল। প্রথম ওভারেই তিনি বৈভব সূর্যবংশীর উইকেট হারান। চার রান করার পর ফাস্ট বোলার বৈভব অরোরার শিকার হন বৈভব। কুণাল রাঠোড় খাতা না খুলেই মইন আলির বলে আউট হন। এখান থেকে, যশস্বী জয়সওয়াল এবং অধিনায়ক রিয়ান পরাগের মধ্যে তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে ওঠে। এই জুটি ভেঙে দেন মঈন, যখন তিনি যশস্বীকে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দেন। যশস্বী জয়সওয়াল ২১ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ রান করেন। এরপর রহস্যময় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী একই ওভারে ধ্রুব জুরেল (০) এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (০) কে আউট করে।