ব্যাট হাতে করেছেন দুর্দান্ত শতরান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে ভারতীয় ফ্যানদের জন্য যা দারুণ খবর। তবে সেঞ্চুরি, দারুণ সেলিব্রেশনের পর আলোচনায় ঋষভ ন্তের রান আউট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। দল হারল ঠিকই, তবে মন জয় করে নিলেন লখনউ ক্যাপ্টেন।
অবশ্য, রিশভ পন্ত পরে সেই আউট করার আবেদন প্রত্যাহার করে নেন, যা একটি বিতর্কিত বিষয় ছিল। এই ঘটনার পর ক্রিকেটপ্রেমী ও সমালোচকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। ২২৮ রান তাড়া করতে নেমে ব্যাঙ্গালোর তখন জয়ের কাছাকাছি। ১৭তম ওভারে লখনউ সুপার জায়ান্টসের স্পিনার দিগ্বেশ রাঠি জিতেশ শর্মাকে রান আউট করার চেষ্টা করেন।
রাঠি যখন নন-স্ট্রাইকার এন্ডে বেল ভেঙে দেন, তখন জিতেশ ক্রিজের বাইরে ছিলেন। মাঠের আম্পায়াররা সিদ্ধান্তটি থার্ড আম্পায়ারের কাছে পাঠান, পরিস্কার দেখা যায় জিতেশ ক্রিজের বাইরে। তবে স্ক্রিনে 'নট আউট' লেখা দেখে। কিছুক্ষণ পরে, জানা গেল যে এলএসজি অধিনায়ক ঋষভ পন্ত আপিল প্রত্যাহার করে নেওয়ায় জিতেশকে অপরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে।
প্লে অফের আগে লখনউ-এর বিরুদ্ধে দারুণ জয় ব্যাঙ্গালোরের। টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আরসিবি। টিম ডেভিড এবং জশ হ্যাজেলউড এই ম্যাচে খেলছেন না। লখনউ দল প্রথমে ব্যাট করতে নামে। পন্তের ১১৮ রানের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে লখনউ আরসিবির সামনে ২২৮ রানের লক্ষ্য রাখে। প্রথমে বিরাট তারপর জিতেশের ইনিংসে ম্যাচ জেতে আরসিবি।
২২৮ রানের লক্ষ্যের জবাবে, আরসিবির শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। ফিল সল্ট এবং বিরাট কোহলি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ইনিংস শুরু করেন। কিন্তু আরসিবি প্রথম ধাক্কা খায় ষষ্ঠ ওভারে যখন ৩০ রান করে সল্ট আউট হন। কিন্তু কোহলি এক প্রান্তে অটল ছিলেন। কোহলি ২৭ বলে পঞ্চাশ রান করেন। কিন্তু ৮ম ওভারে, একই ওভারে রজত পাতিদার এবং লিভিংস্টোন আউট হয়ে গেলে আরসিবি দুটি ধাক্কা খায়। কিন্তু ১২তম ওভারে, ৫৪ রান করে বিরাট কোহলি আউট হন। কোহলি ৩০ বলে ৫৪ রান করে। ২১ বলে ৪৯ রান করে দিগবেশের বলে আউট হন আরসিবি ক্যাপ্টেন জিতেশ শর্মা। তবে নো বলের কারণে তা বাতিল হয়। ৬ মেরে জিতেশ হাফ সেঞ্চুরি করেন।