(এলআর) কলকাতা নাইট রাইডার্সের কুইন্টন ডি কক, সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল এবং অজিঙ্ক রাহানে এই ফ্রেমেকলকাতা নাইট রাইডার্স ছেড়ে দিল পাঁচ ক্রিকেটারকে। যার মধ্যে অন্যতম আন্দ্রে রাসেল। তিনি বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের একজন সর্বকালের কিংবদন্তি। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যার বিস্ফোরক ব্যাটিং, দুর্দান্ত বোলিং এবং অ্যাথলেটিক ফিল্ডিং বারবার কেকেআর-কে জিতিয়েছেন।
রাসেল গত ১০ বছর ধরে নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলছেন। শুধু কেকেআর নয়, রাসেল এখন নাইট রাইডার্সের মালিকানাধীন ৪টি ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে গত মরসুমে খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে তাঁকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহরুখ খানের দল। কলকাতা নাইট রাইডার্সে এবার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আইপিএলের জন্য সহকারী কোচ হিসেবে নাইটদের শিবিরে যোগ দিয়েছেন শেন ওয়াটসন। অভিষেক নায়ার দলের হেড কোচ। ওয়াটসন তাঁরই ডেপুটি। এবার বহুযুদ্ধের সৈনিক রাসেলকে ছেড়ে দেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিল কলকাতার দল।
শুধু রাসেল নয়, ২৩.৭৫ কোটি টাকায় কেনা বেঙ্কটেশ আইয়ারকেও ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা। বেঙ্কটেশ গত মরসুমে ভাল খেলতে পারেননি। পাশাপাশি প্রত্যাশামত পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। শুধু তাই নয়, কুইন্টন ডি কক, মইন আলি ও আনরিখ নোকিয়াকেও ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, কলকাতা একেবারে নতুন করে এ মরসুমে নামতে চলেছে। তবে তাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ফলাফল বদল হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
রাসেল ছেড়ে যাওয়ায়, অনেক কেকেআর সমর্থকই হতাশ। গতবারের টুর্নামেন্টে রাসেল ১৩টি ম্যাচে ১৬৭ রান করেন। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৫৭। যা তাঁর থেকে অপ্রত্যাশিত। বিশেষ করে তাঁর ২০১৯ সালের পারফরম্যান্সের দিকে দেখলে এই পার্থক্য বেশ স্পষ্ট হয়। দলের হয়ে একাই ৫১০ রান করেন ক্যারিবিয়ান তারকা।
ব্যাট ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে বল হাতেও তুলে নিয়েছিলেন ১১টি উইকেট। সেই তারকা ক্রিকেটারকে একেবারেই ছন্দে দেখা যায়নি গতবার। ব্যর্থতা সত্ত্বেও তাঁকে কেন খেলানো হচ্ছে, সেই প্রশ্নও ওঠে। অনেকেই বলেন, রভম্যান পাওয়েলের মতো ক্রিকেটার থাকলেও কেন ব্যর্থ ক্রিকেটারকে ব্যে বেড়ানো হচ্ছে। যদিও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মেন্টর ডোয়েন ব্রাভো। গতবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, রাসেল যখন ব্যাট করতে নামছে, তখন ওভার পিছু ১৫-২০ রানের দরকার। সব সময়ে সেটা সম্ভব হয় না।