Irfan Pathan on Virat Kohli: খারাপ পারফর্ম্যান্সে কোহলির পাশে দাঁড়ানো উচিত? 'বাস্তব'টা বোঝালেন পাঠান

প্রথম প্রথম কারও পারফর্ম্যান্স খারাপ হলে সাপোর্ট দেওয়া উচিত। কিন্তু দীর্ঘদিন ফর্ম খারাপ থাকলে সেক্ষেত্রে নতুন করে ভাবা প্রয়োজন।

Advertisement
খারাপ পারফর্ম্যান্সে কোহলির পাশে দাঁড়ানো উচিত? 'বাস্তব'টা বোঝালেন পাঠানবিরাট কোহলিকে কি সাপোর্ট করা উচিত? 'বাস্তব'টা বোঝালেন ইরফান পাঠান।
হাইলাইটস
  • প্রথম প্রথম কারও পারফর্ম্যান্স খারাপ হলে সাপোর্ট দেওয়া উচিত।
  • কিন্তু দীর্ঘদিন ফর্ম খারাপ থাকলে সেক্ষেত্রে নতুন করে ভাবা প্রয়োজন।
  • বিরাট কোহলির বিষয়ে এমনই মত ইরফান পাঠানের।

প্রথম প্রথম কারও পারফর্ম্যান্স খারাপ হলে সাপোর্ট দেওয়া উচিত। কিন্তু দীর্ঘদিন ফর্ম খারাপ থাকলে সেক্ষেত্রে নতুন করে ভাবা প্রয়োজন। বিরাট কোহলির বিষয়ে এমনই মত ইরফান পাঠানের। প্রাক্তন অলরাউন্ডারের কথায়, দীর্ঘদিন ধরে ভরসা দেখাতে গেলে তাতে উল্টে টিমেরই ক্ষতি হতে পারে। 

২০১৬ থেকে ২০১৯ গোল্ডেন টাইম ছিল
২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিরাট কোহলিই ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটের রাজা। ৪৩টি ম্যাচে ৪,২০৮ রান করেন। অ্যাভারেজ ৬৬.৭৯। মাত্র ৪ বছরেই ১৬টি সেঞ্চুরি ও ১০টি হাফ-সেঞ্চুরি। অধিনায়ক হিসেবেও দাপট দেখান কোহলি। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

তারপরেই ফর্ম খারাপ হয়ে যায়
২০২০ থেকে ২০২২ সময়ের মধ্যে ধীরে ধীরে বিরাটের ফর্ম আগের তুলনায় পড়তে শুরু করে। টানা তিন বছর টেস্টে একটি সেঞ্চুরিও পাননি। এই বিষয়ে ইরফান পাঠান বলেন, 'বিরাট কোহলির ২০১৯, ২০২০ থেকে স্লাম্প আসে। তখন আমি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ওঁকে সাপোর্ট করেছি। বড় প্লেয়াররা যখন প্রথমবার খারাপ ফর্মে পড়েন, তাঁদের অবশ্যই সাপোর্ট দেওয়া উচিত। কারণ এর আগে তিনি টিমকে অনেকগুলি ম্যাচে জিতিয়েছেন। কিন্তু যদি সেই খারাপ ফর্মই পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকে, তখন সেটা কিন্তু ঠিক নয়। টিমের ভালটাই সবার উর্ধ্বে।'

প্ল্যানে সমস্যা?
ইরফান পাঠান আরও বলেন, 'কেউ যদি বারবার একইভাবে আউট হতে থাকেন, তখন প্রতিপক্ষ শুধু প্ল্যান A নিয়েই খেলবে। ওদের আর প্ল্যান B লাগবেই না। চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ারের কাজটাই হল প্রতিপক্ষকে প্ল্যান B ব্যবহার করতে বাধ্য করা। বিরাট কোহলির সমস্যাটা হল, তিনি টানা একইভাবে আউট হচ্ছিলেন। এর মানে কিন্তু এই নয় যে, উনি খারাপ প্লেয়ার। উনি নিঃসন্দেহে গ্রেট প্লেয়ার। কিন্তু বাস্তবে যেটা হচ্ছে, সেটা তো আমাদের স্বীকার করতেই হবে।'

স্পিনেই গণ্ডগোল?
২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজেও কোহলির ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। স্পিন বোলারদের মোকাবিলার ক্ষেত্রে যে তাঁর কিছুটা উইকনেস আছে, সেটা ধরা পড়ে। এরপরেই তাঁকে রঞ্জি ট্রফিও খেলতে বলা হয়েছিল। দিল্লির হয়ে একবার সেটা খেললেও সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি বিরাট কোহলি।

Advertisement

টেস্ট থেকে অবসর
অস্ট্রেলিয়া সফরের পরই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন বিরাট কোহলি। এখন তিনি কেবল ওয়ান ডে ক্রিকেটই খেলছেন। তবে কতদিন খেলবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। খুব শীঘ্রই কি ওয়ানডে থেকেও বিদায় নেবেন? নাকি আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে আরেকটু সময় কাটাবেন? এই নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। 

POST A COMMENT
Advertisement