দিল্লির প্রাক্তন ক্রিকেটার মিঠুন মানহাস ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। ৪৫ বছরের এই প্রাক্তন খেলোয়াড় রজার বিনির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার নয়াদিল্লিতে বিসিসিআই-র বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন পদাধিকারীদের নির্বাচন হবে। ভারতের হয়ে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলে মিঠুন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে শক্তিশালী পদগুলির মধ্যে একটিতে মিঠুনকে বসানোতে বিসিসিআই-র অন্য প্রভাবশালীদের সমর্থন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট সংস্থার ক্রিকেট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করার পর মিঠুন মানহাস BCCI-র বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দেবেন। প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার রঘুরাম ভাট কর্নাটকের প্রতিনিধিত্ব করবেন এবং কিংবদন্তি হরভজন সিং পাঞ্জাবের প্রতিনিধিত্ব করবেন। দেবজিৎ সাইকিয়া বিসিসিআই সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আর রাজীব শুক্লা সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রবতেজ ভাটিয়া যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং ভারতের প্রাক্তন স্পিনার এবং কর্নাটক ক্রিকেটের প্রধান রঘুরাম ভাট কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে, অরুণ ধুমাল আইপিএল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
রজার বিন্নির তিন বছরের মেয়াদ অগাস্টে শেষ হয়েছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলির জন্য বিসিসিআই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ৭০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়াতে নিয়ম মেনে পদ থেকে সরেছেন রজার বিন্নি। যদিও সদ্য পাস হওয়া জাতীয় ক্রীড়া বিল অনুযায়ী, প্রশাসকরা ৭৫ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারবেন। রজার বিন্নির আগে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তিন বছর বিসিসিআই-র প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। আগামী সপ্তাহের বার্ষিক সাধারণ সভায় সিএবি-র প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানের কথা রয়েছে তাঁর।
মিঠুন মানহাস কে?
মিঠুন মানহাস ঘরোয়া ক্রিকেটের একজন খ্যাতিমান খেলোয়াড় হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। দিল্লিতে শুরু হয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে শেষ হওয়া ১৮ বছরের প্রথম-শ্রেণির ক্যারিয়ারে তিনি ১৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন এবং গড়ে ৪৬-এরও কম রান করেছেন, যার মধ্যে ২৭টি সেঞ্চুরি এবং ৪৯টি অর্ধশতক রয়েছে। তিনি ডানহাতে ব্যাট করতেন এবং মাঝেমধ্যে অফ-স্পিন বোলিং করতেন। সিনিয়র জাতীয় দলে জায়গা না পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন মিঠুন। ২০০৭-০৮ সালে তিনি দিল্লি রনজি ট্রফি জয়ী দলের অংশ ছিলেন এবং ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, পুনে ওয়ারিয়র্স এবং চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন। ২০১৭ সালের ঘরোয়া মরসুমের পর অবসর নেওয়ার আগে মিঠুন ১৩০টি লিস্ট এ ম্যাচ এবং ৯১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। মাঠের বাইরে, তিনি কোচিং এবং প্রশাসনিক ভূমিকায় সক্রিয় ছিলেন। পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন। আইপিএল সাপোর্ট স্টাফের অংশ ছিলেন (বিশেষ করে গুজরাত টাইটান্স), এবং জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে বিভিন্ন পদে ছিলেন।