গুজরাতের বিরুদ্ধে ৮ উইকেট তুললেন শামি।প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন মহম্মদ শামি। তমিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সফল না হলেও, গুজরাতের বিরুদ্ধে ইডেনে আগুন ঝরালেন তারকা পেসার। চতুর্থ দিনের শুরুতেই ছিটকে দেন অভিষেক দেশাইয়ের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ৫ উইকেটের সুবাদে পরপর দুই ম্যাচ সরাসরি জিতে নিল বাংলা।
ম্যাচের দিকে কড়া নজর ছিল ভারতীয় দলের নির্বাচক আরপি সিং-এর। হতাশ করেননি বাংলার পেসার। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেট তোলার পর দ্বিতীয় ম্যাচে গুজরাতের বিরুদ্ধে ৮ উইকেট তুললেন শামি। এ বছর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলার পর আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানো হয়নি শামির। ফলে তাঁর এই জোরালো প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে আশা জাগাবে বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।
এর মধ্যেই বিতর্ক হয়েছে, শামি জানিয়েছেন, তাঁর খোঁজ নেননি জাতীয় নির্বাচকরা। সমর্থন পেয়েছেন অজিঙ্কা রাহানের কাছ থেকে। তবে সেই সব বিতর্ক যেন খড়কুটোর মতো উড়ে গেল ইডেনে। পাশাপাশি বাংলাকেও দারুণ জায়গায় এনে দিলেন এই পেসার। ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম ইনিংসে বাংলা ২৭৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। সুমন্ত গুপ্ত ৬৩, অভিষেক পোড়েল ৫১ ও সুদীপ কুমার ঘরামি ৫৬ রান করেন। জবাবে গুজরাটকে একেবারেই স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি বাংলার বোলিং। একমাত্র মনন হিংরাজিয়া (৮০) ছাড়া কেউই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। চোট সারিয়ে ফিরে ৩৪ রানে ৬ উইকেট নেন শাহবাজ আহমেদ। গুজরাটের ইনিংস থামে ১৬৭ রানে। ১১২ রানের বিরাট লিড ছিল বাংলার হাতে।
চতুর্থ দিনে গুজরাতের উর্ভিল ও জয়মিত জুটি গড়ে বাংলার জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছিলেন। তবে আচমকা চোট পান উর্ভিল। তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হলে নামেন উমং কুমার। তাঁকে শাহবাজ ফেরাতেই গুজরাটের যাবতীয় লড়াই শেষ হয়ে যায়। বাকি ম্যাজিক শামির। শেষের দিকে টানা ৩ উইকেট তুলে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন। উর্ভিল (১০৯) ফিরে এসেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। বাংলার জন্য কঠিন হতে থাকা ম্যাচকে অনায়াসে সহজ করে দিলেন শামি-শাহবাজরা।