
ভারতীয় ক্রিকেট দলের 'ক্যাপ্টেন কুল' অর্থাৎ মহেন্দ্র সিং ধোনি আজ তাঁর ৪৪ তম জন্মদিন উদযাপন করছেন। ক্রিকেট জগতে আলাদা পরিচয় তৈরি করা ধোনির জন্ম ১৯৮১ সালের ৭ জুলাই রাঁচিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরেও তিনি আইপিএলের মাধ্যমে লাইমলাইটে রয়েছেন। আয়ের দিক থেকেও মহেন্দ্র সিং ধোনি অন্য অনেকের থেকে এগিয়ে আছেন। ক্রিকেট ছাড়াও অন্যান্য অনেক উৎস থেকে প্রচুর আয় করা ধোনি দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেটারদের তালিকায় রয়েছে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১০০০ কোটি টাকারও বেশি।
আমরা সকলেই কমবেশি জানি যে ধোনি যখন সবে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু করেন, সেইসময় খড়গপুরে টিকিট পরীক্ষকের কাজ করতেন তিনি। ২০০১ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের টিকিট পরীক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। পোস্টিং ছিল খড়গপুর রেল স্টেশনে। ২০০৪ সালের জুলাই মাস অর্থাৎ মোট তিন বছর তিনি এই চাকরি করেছিলেন। আর এখানে থাকতেই বাংলা ভাষাটা শিখেছিলেন ধোনি। আর এই বাংলা ভাষা দিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের একবার বোকাও বানিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের 'ক্যাপ্টেন কুল'।
দীর্ঘদিন বাংলায় কাজ করেছিলেন ধোনি। এখান থেকেই তাঁর স্বপ্নের উড়ান শুরু। সেই চাকুরে ধোনি হয়ে যান ভারতীয় দলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কও তিনি। ভারতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটারদের একজন। খড়গপুরে কাজ করার সুবাদে বাংলাটা খুব ভালোভাবে জানতেন ধোনি। শুধু বোঝাই নয়, তিনি বাংলা বলতেও পারেন খুব ভালো করে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানান এই বাংলা বলতে পারায় কীভাবে তিনি বাংলাদেশ দলকে বোকা বানিয়েছিলেন। ধোনি এক অনুষ্ঠানে বলছিলেন, ‘খড়গপুরে যখন আমি চাকরি করতাম তখন বাংলা বলতাম ভালমতোই। এখন বলতে গেলে অবশ্য একটু ভুল হতে পারে। কিন্তু আমি এখনও বাংলা খুব ভাল বুঝতে পারি। যদি আমার সামনে কেউ বাংলা বলে তা হলে আমি বুঝে যাব ওরা কী বলতে চাইছে।’ তিনি আরও বলেন,'আমরা একবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলছিলাম। আমি ব্যাট করার সময় ওদের উইকেটকিপার ও ক্যাপ্টেন বাংলায় বোলারদের নির্দেশ দিচ্ছিল। ওরা ভেবেছিল আমি একেবারেই বাংলা জানি না। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম ওরা কী পরিকল্পনা করছে। ওরা কোন দিকে বোলিং করবে তা আমি আগেই জেনে যাচ্ছিলাম।’ কথাগুলো বলেই ধোনি হো হো করে হেসে ফেলেন। উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়।